পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। ছবি পিটিআই।
কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রভাব কাটাতে পাল্টা আইন করবে পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ বুধবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যে নতুন কৃষি আইন প্রণয়নে আগামী ১৯ অক্টোবর বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসবে।
মোদী সরকারের তিন কৃষি বিল সংসদে পাশ হয়ে যাওয়ার পরে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে এমন পাল্টা আইন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সকলের আগে পঞ্জাব সে কাজ করতে চলেছে। এ রাজ্যের বিরোধী পক্ষ অকালি দলও কেন্দ্রের কৃষি আইনের তীব্র বিরোধিতা করছে এবং এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। পঞ্জাবের পরে কংগ্রেস-শাসিত রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ও একই পথে হাঁটবে বলে রাজনৈতিক সূত্রের ইঙ্গিত। পুদুচেরি কী করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে সামগ্রিক ভাবে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা ও কৃষক সংগঠনগুলি। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী উপস্থিত না-থাকায় দিল্লিতে আজ কৃষিসচিবের বৈঠক বয়কট করে অখিল ভারতীয় কিষান সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি (এআইকেএসসিসি) ও পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলি। এর পরে তারা কৃষি ভবনের বাইরে কৃষি আইনের কপি পোড়ায় ও ধরনা দেয়।
বৈঠক বয়কট করা নিয়ে এআইকেএসসিসি ও পাঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলির বক্তব্য, কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে যে কোনও আলোচনার ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত পূরণ করতে তৈরি থাকতে হবে সরকারকে। সে তিনটি হল, নতুন তিন কৃষি আইন বাতিল করা, সব ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া এবং চাষের খরচ, খাদ্য সুরক্ষা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা। কৃষিমন্ত্রী নিজে উপস্থিত না-থাকলে, কৃষিসচিবের সঙ্গে বৈঠকে এই সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হওয়া সম্ভব নয়। তাই তারা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে।
সব ফসলের এমএসপি-কে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা-সহ ২০টিরও বেশি রাজ্যের শতাধিক জায়গায় ‘এমএসপি অধিকার দিবস’ পালন করেছে এআইকেএসসিসি।