সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া দুর্ঘটনার মুহূর্ত। ছবি: এক্স (পূর্বতন টুইটার)।
আবারও সেই মহারাষ্ট্র। মুম্বই, নাসিকের পর এ বার সেই পুণে। পোর্শেকাণ্ডের স্মৃতি এখনও টাটকা। তার মধ্যে আবার বেপরোয়া গতির জেরে দুর্ঘটনা। বাইকে ধাক্কা মেরে পালাল একটি গাড়ি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন বাইকের সওয়ারিরা।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরায় দুর্ঘটনার সেই মুহূর্ত ধরা পড়েছে। দ্রুত সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিয়োটি (তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা স্বীকার করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একটি গাড়ি পিছন দিক থেকে ধাক্কা মারল বাইক আরোহী এক যুগলকে। ধাক্কার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, ছিটকে বেশ খানিকটা দূরে গিয়ে আছড়ে পড়লেন দু’জনেই।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পুণের আহমেদনগর-কল্যাণ হাইওয়েতে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই যুগল বাইকে চড়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন, তখনই পিছন থেকে দ্রুত গতিতে একটি গাড়ি এসে তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন দু’জনেই। আহত যুগলকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ আছেন তাঁরা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন ওই যুগল। গাড়িটির চালকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত জারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই তামিলনাড়ুর থিরুনেলভেলিতে এ রকমই একটি দুর্ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। এক বৃদ্ধা যখন রাস্তা পার করছিলেন, তখন বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একটি গাড়ি তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। প্রায় ২০ ফুট দূরে ছিটকে পড়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পোর্শেকাণ্ডের পর থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় খবরের শিরোনামে রয়েছে পুণে। গত দু’মাসে শুধু মহারাষ্ট্রেই একাধিক পথ দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। গত ১৯ মে দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারকে পোর্শে নিয়ে পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক কিশোরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয় গোটা মুম্বই। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কিশোরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত মাসেই পুণে-নাসিক হাইওয়েতে এক মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারার অভিযোগ ওঠে এনসিপি বিধায়ক দিলীপ মোহিতের ভাইপো ময়বর মোহিতের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তরুণ বাইকচালকের। এনসিপি বিধায়কের ভাইপোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবারও সেই পুণেতেই বিএমডব্লিউ নিয়ে এক মহিলাকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শিন্ডেসেনার নেতার পুত্র মিহির শাহের বিরুদ্ধে। গত ৭ জুলাই ঘটনাটি ঘটেছিল। সেই ঘটনার পর পলাতক ছিলেন মিহির। যদিও দু’দিন পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর গত ১৮ জুলাই মত্ত অবস্থায় গাড়ি নিয়ে একটি টেম্পোকে ধাক্কা মারার অভিযোগ ওঠে শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর নেতার পুত্রের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম সৌরভ গায়কোয়াড়। তিনি পুণে পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা শরদগোষ্ঠী এনসিপি নেতা বান্দু গায়কোয়াড় ওরফে তাতিয়া গায়কোয়াড়ের পুত্র। অভিযোগ, পুণের মঞ্চরি-মুন্ধওয়া রাস্তা দিয়ে এসইউভি চালিয়ে আসছিলেন সৌরভ। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি টেম্পোকে মুখোমুখি ধাক্কা মারেন। সৌরভের গাড়ির সামনের দিকটা দুমড়েমুচড়ে যায়। টেম্পোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জানা গিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় টেম্পোর চালক এবং তাঁর দুই সঙ্গী আহত হন।