নিহত পুলিশ অফিসার আমন কুমার। ছবি: পিটিআই।
কুলগামে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযানে মারা গেলেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশেরএকজন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট (ডিএসপি) পদমর্যাদার এক অফিসার। গুরুতর আহত হয়েছেন ভারতীয় সেনার এক মেজর এবং এক সেনা জওয়ানও। ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এই যৌথ অভিযানে নিকেশ করা হয়েছে তিন জঙ্গিকেও।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, শ্রীনগর থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার তুরিগামে ঘাঁটি গেড়েছে সশস্ত্র জঙ্গিদের একটি দল। এর পরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে চিরুনি তল্লাশি করে এগোতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। তখনই ভারতীয় বাহিনীর দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা প্রত্যাঘাত করেন ভারতীয় জওয়ানেরাও। শুরু হয় গুলির লড়াই। সংঘর্ষে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
ভারতীয় বাহিনীর সামনে থেকে এই এনকাউন্টারে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি আমন কুমার। ২০১১ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারের বাড়ি জম্মুর ডোডা জেলায়।জঙ্গি কবলিত দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় ডিএসপি(অপারেশন) পদে গত দু’বছর ধরেই কর্মরত ছিলেন তিনি। এলাকার খবরাখবর ছিল তাঁর নখদর্পণে। সেই কারণেই তাঁর নির্দেশের প্রেক্ষিতেই অগ্রসর হচ্ছিল ভারতের যৌথবাহিনী। হঠাৎ করেই জঙ্গিদের দিকে থেকে ছুটে আসা গুলি তাঁর মাথা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আমনকুমারের।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান একটা পরমাণু বোমা ফেললে ভারত ২০টা ফেলে ধ্বংস করবে: পারভেজ মুশারফ
পুলওয়ামা থেকে কুলগামের দূরত্ব মাত্র ৪৭ কিলোমিটার। যে জঙ্গিরা পুলওয়ামায় হামলা চালিয়েছিল, তাদের অনেকেই কুলগামে এসে ঘাঁটি গেড়েছে, এমনটাই অনুমান ছিল নিরাপত্তাবাহিনী। তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা গেলেও এখনও তিন-চার জন লুকিয়ে আছে গ্রামের একটি বাড়িতে, এমনটাই জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদসংস্থা সূত্রে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলির লড়াই জারি আছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে আরও সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে।
আরও পড়ুন: ‘ওই পাথুরে পাহাড় চাই না’, কাশ্মীর নিয়ে বলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি!
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিংহ জানিয়েছেন,‘আমরা অত্যন্ত সাহসী এক জন পুলিশ অফিসারকে হারালাম। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। রবিবার এই অভিযানের নেতৃত্ব আমন কুমারই দিচ্ছিলেন। তখনই তাঁর মৃত্যু হয়।’