পাক শিল্পীদের সঙ্গে কাজ বন্ধ করা উচিত ভারতীয় মিউজিক কোম্পানির। দাবি রাজ ঠাকরের দলের। ফাইল চিত্র।
পুলওয়ামা হামলার প্রতিবাদে পাক গায়কদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)। রাজ ঠাকরের দলের দাবি, অবিলম্বে ভারতের মিউজিক কোম্পানিগুলির উচিত পাক শিল্পীদের বয়কট করা।
দলের তরফে এ খোপকার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘বিভিন্ন মিউজিক কোম্পানিগুলি যেমন টি-সিরিজ, সোনি মিউজিক, টিপস মিউজিক ইত্যাদিদের বলছি পাকিস্তানি শিল্পীদের বাদ দেওয়ার জন্য। এখন মৌখিক ভাবে আমরা এ-কথা বলছি। অবিলম্বে পাক শিল্পীদের সঙ্গে কাজ বন্ধ করা উচিত এই সব কোম্পানির।’’ এর পর কার্যত হুমকির সুরে তিনি বলেন, ‘‘মিউজিক কোম্পানিগুলি দ্রুত এই ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ করব।’’
সম্প্রতি টি-সিরিজ দুটি পৃথক অ্যালবামের জন্য রাহাত ফতেহ আলি খান এবং আতিফ আসলামের সঙ্গে চুক্তি করেছে। সে প্রসঙ্গে এমএনএস দাবি তুলেছে সংস্থার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ওই দুই পাক সংগীত শিল্পীরা গান মুছে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ২০০ শতাংশ করা হল, পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া ভারত
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত-উত্তেজনা যখনই বেড়েছে, তখনই তার প্রভাব পড়েছে দু’দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্কে। ইতিমধ্যেই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর শাবানা আজমি এবং জাভেদ আখতার তাঁদের নির্ধারিত পাক সফর বাতিল করেছেন। শুধু এ বারই নয়। আগেও পাক-শিল্পীদের নিশানা করতে দেখা গিয়েছে রাজ ঠাকরের দলকে। যেমন, ২০১৬ সালে উরি হামলার পর রাজ ঠাকরে সব পাকিস্তানি শিল্পীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন৷
আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা তুলে নিল সরকার, তালিকায় নেই গিলানি
শুধু সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রই নয়, উত্তেজনার আঁচ পড়তে দেখা গিয়েছে দু’দেশের খেলাধূলার মধ্যে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভাঁটার কারণে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজও বন্ধ রয়েছে অনেক দিন।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)