নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে মিছিল আইজলে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই প্রতিবাদে একজোট মিজোরামের সব দল ও সংগঠন। কিন্তু কেন্দ্রের প্রয়াসেরবিরুদ্ধে এ বার ‘চিন জিন্দাবাদ’ স্লোগান-পোস্টারে মিছিল বেরোল আইজলে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানও বয়কটের হুমকি দেওয়া হল।
কাল আইজলে নেসো, এমজেডপি, ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইএমএ)-এর যৌথ মিছিল বের হয়। সেখানেই অনেকের হাতে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ লেখা পোস্টার ছিল। বেশ কিছু পোস্টারে ছিল চিনা হরফ। নেসোর নেতা রিকি লালবিয়াকমাওইয়ার মতে, বিল নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। তাই কেউ কেউ হয়তো মনে করেছেন, ভারত সরকার যখন আমাদের কথা শুনছে না, তখন চিনের প্রতি হাত বাড়ানোই ভাল। কালের মিছিলে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পা মেলান।
এ দিকে, আজও অসমের বিভিন্ন অংশে বিল-বিরোধী আন্দোলন চলেছে। কংগ্রেস বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকের দফতরের সামনে অনশন চালায়। অন্য দিকে, অসম আন্দোলনে শহিদ হওয়া ৮৫৫ জনের পরিবারকে রাজ্য সরকার যে স্মারক দিয়েছিল তা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পরিবার। আজ তেজপুর শহিদ পরিবার সমন্বয়রক্ষী পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারির আগেই রাজ্য সরকারের দেওয়া স্মারক ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে।
আন্দোলনের পাশাপাশি বিজেপি আজ বিজয়ী পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের অভিনন্দন সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী, ‘‘ছয় জনগোষ্ঠীর তফশিলভুক্তি ও অসম চুক্তির ষষ্ঠ ধারা রূপায়ণ হলে তবেই অসম সুরক্ষিত হবে।’’ তাঁর মতে, একদল পেশাদার আন্দোলনকারী সরকারের সব পদক্ষেপ নিয়েই মানুষকে ভুল বোঝাতে ব্যস্ত। তার পরেও বিজেপিই লোকসভায় জিতবে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল অসমবাসীকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘‘মানুষ পাশে আছেন, সেই সাহসেই বিলকে সমর্থন করছি। বিলটি গোটা দেশের জন্য প্রযোজ্য। শুধু অসমের জন্য নয়।’’