ছবি: পিটিআই।
দেশে ‘প্রচুর অবিচার’ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে নির্যাতিতাকে নিয়ে সরব হলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
আজ দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘ভারত বাঁচাও র্যালি’-তে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘উন্নাওয়ে যে নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তাঁর বাবাকে মুখ ঢেকে কাঁদতে দেখে আমার নিজের বাবার কথা মনে পড়ল। বাবার মৃতদেহ যখন দেখি তখন আমার ১৯ বছর বয়স। এ দেশের মাটিতে আমার বাবার রক্ত যেমন মিশে রয়েছে তেমনই রয়েছে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার রক্ত। এ দেশ আমাদের। দেশকে বাঁচানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য।’’
প্রিয়ঙ্কা জানান, উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে ওই নির্যাতিতাকে গ্রামপ্রধানের ছেলেই ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রথমে পুলিশ অভিযোগই নিতে চায়নি। কিন্তু হাল না ছেড়ে বিচার পেতে ট্রেনে চড়ে কোটে যেতেন তিনি। এক দিন কোর্টে যাওয়ার পথেই অভিযুক্তেরা তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সবাই বিচার পেতে চায়। ওই তরুণীর বাড়িতে তাঁরই আত্মীয় এক ন’বছরের মেয়ের কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম, ভবিষ্যতে সে কী হতে চায়। কিছু ক্ষণ চুপ করে থেকে সে বলল, বিচারক হতে চায়।’’ প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য, ‘‘দেশে এখন অনেক অবিচার ঘটছে। কৃষকেরা ধাক্কা খাচ্ছেন। বস্তুত উন্নাওয়ে নির্যাতিতার পরিবারও নোটবন্দির ফলে ধাক্কা খেয়েছিল।’’ প্রিয়ঙ্কার মতে, এখন যাঁরা এ সব অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন না তাঁরা কাপুরুষ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আজ উত্তরপ্রদেশে রয়েছেন। আশা করি তিনি এই নির্যাতন নিয়ে মৌনভঙ্গ করবেন।’’ উত্তরপ্রদেশ সফরে গেলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি।
আরও পড়ুন: রাহুলের ‘সাভারকর’ মন্তব্যে চটল সেনা!
এ দিন উন্নাওয়ে নির্যাতিতা তরুণীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন সমাজবাদী নেতা অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ‘‘নির্যাতিতার পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পায় তা দেখা আমাদের কর্তব্য।’’