‘ন্যায় কিসান র্যালি’তে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। রবিবার বারাণসীতে। পিটিআই
লখিমপুর খেরিতে ঝড় তোলার পর আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে সভা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। আগামী উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি আগ্রাসী ভাষণে বিঁধলেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার ও উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে।
সম্প্রতি লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যুর ঘটনার পরে এই সভার নাম ‘প্রতিজ্ঞা র্যালি’ থেকে বদলে রাখা হয় ‘ন্যায় কিসান র্যালি’। স্বাভাবিক ভাবেই এ দিনের সভায় প্রিয়ঙ্কার তূণীরে সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল কৃষক মৃত্যুর বিষয়টি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে নিজের গাড়িতে ছয় কৃষককে পিষে মারলেন। মৃতদের সকলের পরিবারই জানিয়েছে, তারা ন্যায়বিচার চায়। কিন্তু সকলে দেখতে পাচ্ছেন, সরকার কী ভাবে মন্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে আড়াল করার চেষ্টা করে চলেছে।’’ প্রিয়ঙ্কার ক্ষোভ, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি লখনউয়ে এলেও লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার সময় পাননি।
পাশাপাশি কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী এবং দুষ্কৃতী বলে দেগে দেওয়ার অভিযোগ এনে মোদী ও যোগী আদিত্যনাথের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনজীবী এবং সন্ত্রাসবাদী বলেছেন। যোগীজি ওঁদের গুন্ডা বলে ভয় দেখাতে চেয়েছেন। আর সেই সুরেই এই মন্ত্রী (অজয় মিশ্র) বলেছিলেন, প্রতিবাদী কৃষকদের লাইনে ফেরাতে তাঁর দু’মিনিট লাগবে।’’ প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘এ দেশে মহিলা, দলিত আর কৃষকদের হেনস্থা হয়েই চলেছে। জাত, ধর্ম নির্বিশেষে কেউ আর নিরাপদ নন। আজকের দিনে কেবল দু’ধরনের মানুষ নিরাপদ। ক্ষমতায় থাকা বিজেপি নেতা এবং তাঁদের কোটিপতি বন্ধুরা।’’ কংগ্রেস নেত্রীর বক্তব্য, ‘‘গত বছর মোদীজি ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নিজের জন্য দু’টি বিমান কিনেছেন। আর দেশের সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে ১৮ হাজার কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন তাঁর কোটিপতি বন্ধুর কাছে।... দেশে তিনশো দিনেরও বেশি সময় ধরে কৃষকেরা প্রতিবাদ করে চলেছে। অন্তত ছ’শো প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। ওঁরা প্রতিবাদ করছেন, কারণ ওঁরা জানেন যে ওঁদের আয়, জমি, ফসল সব কোটিপতি বন্ধুদের হাতে
তুলে দেবে সরকার।’’ এ দিন কাশী বিশ্বনাথ এবং কুশমান্দা মন্দির দর্শন করেন প্রিয়ঙ্কা। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলও এ দিন বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেন।