ফাইল চিত্র।
ডিজিটাল লেনদেনকে উত্সাহ দিতে মোদী চালু করেছেন লাকি ড্র। ক্যাশলেস লেনদেন করলেই লাকি ড্রয়ে আর্থিক পুরস্কারের সুযোগ। শুক্রবার নয়াদিল্লির তালকাটোরা স্টে়ডিয়ামে ডিজি-ধন মেলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই মঞ্চ থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, “নিজেও ডি়জিটাল লেনদেন করুন, অপরকেও এই লেনদেনে উত্সাহী করুন।” তিনি বলেন, যাঁরা এই স্কিম ব্যবহারের মাধ্যমে ৫০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করবেন তাঁদেরই মধ্যে লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে পুরস্কার দেওয়া হবে। ১০০ দিনের জন্য এই স্কিম চালু করা হয়েছে। চলবে দেশের ১০০টি শহরে। এই দু’টি স্কিম ব্যবহারকারীদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হবে ভাগ্যশালী বিজেতাদের। সেই স্কিম দু’টি হল লাকি গ্রাহক যোজনা এবং ডিজি-ধন ব্যাপার যোজনা। ২০১৭-র ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব অম্বেডকরের জম্মবার্ষিকীতেই এই পুরস্কার দেওয়া হবে গ্রাহকদের।
এ দিন তিনি বাবা অম্বেডকরের নামে একটি নতুন অ্যাপ চালু করেন। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভীম’। এই অ্যাপ ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে না। ব্যবহারও যথেষ্ট সোজা। মোদী বলেন, “এক সময় ছিল যখন নিরক্ষরদের আঙ্গুঠা ছাপ বলা হত। সময় বদলেছে। আপনাদের আঙুলই এখন আপনাদের ব্যাঙ্ক, আপনাদের পরিচয়।”
এত ঢাকঢোল পিটিয়ে ডিমনিটাইজেশনের বাজারে এই লাকি ড্র কি মানুষের মন ঘোরানোর প্রচেষ্টারই একটা অংশ? এ প্রশ্ন অবশ্য ইতিমধ্যেই উঠেছে। কালো টাকাকে ইস্যু করে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। কালো টাকার উত্সকে খতম করবেন বলে দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রায় আড়াই বছর ক্ষমতায় কাটানোর পর শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রশ্ন, কোথায় গেল সে কালো টাকার প্রতিশ্রুতি? আচমকাই এক মহাকাণ্ড ঘটালেন মোদী। গত ৮ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদী রাতারাতি বাতিল করলেন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। এবং দাবি করলেন, কালো এবং জাল টাকার কারবারিদের কাত্ করতেই নাকি এ সিদ্ধান্ত। কিন্তু সময় যত গড়াল দেখা গেল, দেশের কালো টাকার একটা নগন্য কণা মাত্র এই নোট বাতিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অভিযোগ, এটা বোঝার পরই টিম মোদী মানুষের নজর ঘোরাতে ক্যাশলেস ইকনমির কথা তুলতে শুরু করে দিয়েছে।