রাজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনি যুদ্ধের প্রস্তুতি

দীপাবলির উৎসবে যখন দেশ মেতে আছে, সেই সময় নিঃশব্দে এক অধ্যাদেশ এনে ফেলল রাজস্থানের বসুন্ধরা রাজে সরকার। আর তা নিয়েই তোলপাড় রাজনীতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:১১
Share:

দীপাবলির উৎসবে যখন দেশ মেতে আছে, সেই সময় নিঃশব্দে এক অধ্যাদেশ এনে ফেলল রাজস্থানের বসুন্ধরা রাজে সরকার। আর তা নিয়েই তোলপাড় রাজনীতি।

Advertisement

কারণ, অধ্যাদেশ মোতাবেক কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও বিচারক বা আমলার বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে না। এমনকী সেগুলি সংবাদমাধ্যম প্রচারও করতে পারবে না। কেউ যদি সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমলাদের পরিচয় কিংবা অভিযোগ প্রকাশ করেন, তাহলে তাঁর দু’বছরের জেল হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন আছে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকার সময় নেবে ছ’মাস। এ হেন একটি অধ্যাদেশ আগামী সোমবারই বিধানসভায় পাশ করানোর জন্য নিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন সমাজকর্মীরা।

স্বাভাবিক ভাবে এই নিয়ে ঝড় উঠেছে জয়পুর থেকে দিল্লিতে। রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা সচিন পায়লট রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। তাঁর মতে, এটি শুধু মাত্র দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করার জন্যই করা হয়েছে। যে ছ’মাস সময় সরকার নিচ্ছে, তার মধ্যে পুলিশ বা আদালত কোনওভাবেই নাক গলাতে পারবে না। আর সরকার যাবতীয় দুর্নীতির অভিযোগ মেটাবে। সে কারণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, আমলাদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘বিড়লা-সহারা ডায়েরি, ব্যপম, ললিত মোদীর মতো দুর্নীতি ঢাকতে সব বিজেপি শাসিত রাজ্যেই এমন একটি করে আইন দরকার। আর যে ভাবে সংবাদমাধ্যমের উপরে আঘাত হানা হয়েছে, সেটি লজ্জাজনক ঘটনা। আসল বিষয়টি হলো ভোটের আগে অর্থ জোগাড়ের কল হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা হবে।’’

Advertisement

বসুন্ধরা সরকার অবশ্য যুক্তি দিচ্ছে যে, সৎ আমলাদের আড়াল করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী আজ জানান, দুর্নীতি ঢাকার জন্য এই ব্যবস্থা নয়। অনেক সময় সৎ আমলাদের উপরে অসৎ উদ্দেশ্যে অভিযোগ করা হয়। তাতে মনোবল ভেঙে যায়। এমন অফিসারদের আড়াল করার জন্যই এই ব্যবস্থা। আর ছ’মাসের মধ্যে এক বার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে তারপর নিয়মমাফিক তদন্ত হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে পিপলস ইউনিয়ন অফ সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল)। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কবিতা শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে রাশ টানতে ও ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা খর্ব করতেই এই অধ্যাদেশ আনা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement