বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি- পিটিআই।
মার্কিন সফরে গিয়ে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ায় যে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, সে ব্যাপারে তাঁর পাশে দাঁড়াল বিদেশমন্ত্রক। জানানো হল, ‘‘কোনও বিষয়ে ব্যক্তিগত মতামত রয়েছে এমন রাজনীতিকদের সঙ্গে কোনও স্বাধীন ছেনদেশের বিদেশমন্ত্রীকে বৈঠকে বসতে বাধ্য করা যায় না।’’
এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। সফরকালে মার্কিন কংগ্রেসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই বৈঠকে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য প্রমীলা জয়পাল থাকবেন জেনে আপত্তি জানান বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর কংগ্রেসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান সেনেটর এলিয়ট এঞ্জেলকে জানান, প্রমীলা বৈঠকে থাকলে তিনি সেই বৈঠকে যাবেন না। কিন্তু এলিয়ট বৈঠক থেকে প্রমীলাকে বাইরে রাখতে রাজি হননি। তার ফলে, ওই বৈঠকে আর যাননি বিদেশমন্ত্রী।
জম্মু-কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের কয়েকটি পদক্ষেপের সমালোচনা করে কয়েক দিন আগেই মার্কিন কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব এনেছেন প্রমীলা।যে প্রস্তাবে মোদী সরকারকে জম্মু-কাশ্মীরে অবিলম্বে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে বলা হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রী ওই বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ায় মোদী সরকারের প্রতিনিধিরা কোনও বিরোধী সুর শুনতে চান না বলে শুরু হয়েছে সমালোচনা।যে সমালোচনায় সুর মিলিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও।
তার প্রেক্ষিতে গত কালই মুখ খুলেছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সকলেই জানেন। তাই ওঁর সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হননি বিদেশমন্ত্রী।’’বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা আগে থেকেই কোনও মতামতে বিশ্বাস করে বসে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আমি বৈঠকে বসতে রাজি নই।’’
এ দিন বিদেশমন্ত্রকের কর্তারা বলেছেন, ‘‘বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে বসার কথা ছিল মার্কিন কংগ্রেসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে।কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রমীলা ওই কমিটির সদস্যা নন। ভারত সম্পর্কে ওঁর মতামতও সকলেই জানেন। তাই ওঁর সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হননি বিদেশমন্ত্রী।’’