ময়না-তদন্ত রিপোর্ট ওড়ালেন বিবেকের সহকর্মী

নিহত অ্যাপল কর্মী বিবেক তিওয়ারির ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এসে গিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, উপরের দিক থেকে কোনাকুনি এসেছিল গুলিটা। বাঁ দিকের চিবুকে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে বিবেকের। কিন্তু ময়না-তদন্ত রিপোর্টের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সেই রাতের ঘটনার একমাত্র সাক্ষী, বিবেকের সহকর্মী সানা খান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৫৮
Share:

বিবেক তিওয়ারি

নিহত অ্যাপল কর্মী বিবেক তিওয়ারির ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এসে গিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, উপরের দিক থেকে কোনাকুনি এসেছিল গুলিটা। বাঁ দিকের চিবুকে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে বিবেকের।

Advertisement

কিন্তু ময়না-তদন্ত রিপোর্টের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সেই রাতের ঘটনার একমাত্র সাক্ষী, বিবেকের সহকর্মী সানা খান। গৃহবন্দি ওই তরুণী একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, খুব কাছ থেকেই গুলি করা হয়েছিল বিবেককে। কিন্তু ময়না-তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির বনেটের উপরে দাঁড়িয়ে কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরি গুলিটা চালিয়েছেন। অথচ সানার দাবি, রাস্তার উপর দাঁড়িয়েই গুলি করেছিলেন ওই কনস্টেবল।

বিবেকের সহকর্মী দাবি করেন, সে দিন বিবেকের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন দুই পুলিশকর্মী। কিন্তু তাঁদের নির্দেশ মানেননি বিবেক। তাতেই রেগে গিয়ে বিবেকের গাড়িটিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে গাড়ির গতি কখনওই বেশি ছিল না। গাড়ি না-থামানোয় ওই পুলিশকর্মীরা ফের গাড়িটি থামাতে বলেন। প্রশান্ত একেবারে চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকায় বিবেক গাড়ির গতি আরও কমিয়ে দিয়ে প্রশান্তকে পাশ কাটিয়ে যান। তখন ওই কনস্টেবল প্রচণ্ড চিৎকার করতে শুরু করেন, যেন ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে গিয়েছে! তার পরেই গাড়ির একেবারে সামনে থেকে গুলি করেন প্রশান্ত।

Advertisement

সানার আরও দাবি, ‘‘আমাদের গাড়ি কখনওই থামেনি। এমনকি গুলি লাগার পরে বিবেক স্যর গাড়িটি চালিয়ে দূরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এর পর ১০-১৫ সেকেন্ড চলার পরে গাড়িটি একটি পাঁচিলে ধাক্কা মারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement