ফাইল চিত্র।
পিছু হটেছে বন্যা। উদ্ধারকাজে তৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু কেরলের বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতির তরজা থামছে না।
কংগ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল গত কয়েক দিন ধরে এই বন্যা পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে কেরল হাইকোর্টে এই নিয়ে আবেদন জমা পড়েছিল। তার প্রেক্ষিতে সোমবার হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘‘কেরলের বন্যাকে গুরুতর দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। কোনও দুর্যোগ যত বড়ই হোক না কেন, জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার সংস্থান নেই আইনে।’’
দিনের শুরুতে কেন্দ্রের ৫০০ কোটি টাকার সাহায্য নিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়বীর শেরগিল আজ কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রচারের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পারেন। বিজেপির সদর দফতর তৈরিতে ১১০০ কোটি টাকা দিতে পারেন। কিন্তু কেরলের ত্রাণে ২০০০ কোটি টাকা দিতে পারছেন না?’’ মোদীকে বড় মনের পরিচয় দেওয়ার কথাও বলেন জয়বীর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু কেরলের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন, শিল্পপতি এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে। তিনি জানান, কেন্দ্র কেরলের ত্রাণসাহায্য নিয়ে কোনও ‘রাজনীতি’ চায় না। আজ অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানিয়েছেন, কেরলে ত্রাণের জন্য যে সব সামগ্রী যাচ্ছে, সেগুলি থেকে আমদানি শুল্ক এবং জিএসটি তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।