নির্বাচন আসতেই উন্নয়ন নিয়ে সরগরম বিহার। কোন দল কতটা উন্নয়ন করছে তার অঙ্ক কষা চলছে পাড়ার মোড়ে মোড়ে। এরই মধ্যে এসে পড়েছে সাংসদ-বিধায়কদের নিজেদের ‘উন্নয়ন’-এর বিষয়টিও। গত পাঁচ বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে মন্ত্রী-বিধায়কদের সম্পত্তি। বিধানসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনের তরফে আয়কর দফতরকে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পত্তির ‘ক্লোজ মনিটরিং’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এর পরেই আয়কর দফতর বিহারের সমস্ত সাংসদ এবং বিধায়কদের সম্পত্তির হিসেব নিতে শুরু করে। আয়কর রিটার্ন, নির্বাচনী হলফনামা, সম্পত্তির তালিকা দেখার পরে খোঁজ নিয়েই নোটিস পাঠানো হচ্ছে। আয়কর বিভাগের তদন্তকারীরা নিজেদের কাজ শুরু করেছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি, রাজ্যের মন্ত্রী শ্রবণ কুমার, মনোজ কুমার, নরেন্দ্র নারায়ণ যাদব-সহ বেশ কয়েক জনকে আয়কর দফতর নোটিস পাঠিয়েছে। পটনা সাহিবের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিংহকেও নোটিস দিয়েছে আয়কর দফতর। চার সাংসদ এবং ১২ বিধায়ক নোটিস পেয়েছেন। কম করে ৫০ জনের নামে নোটিস তৈরির কাজ করছে আয়কর দফতর। নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা পড়েছে তার ভিত্তিতেই নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। হলফনামা অনুযায়ী জিতনরাম মাঁঝির সম্পত্তি বেশ কয়েক গুণ বেড়েছে। কাল মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নাসিম জাইদি পটনায় আসছেন। তিনি দু’দিন থেকে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করবেন।