রাঁচীতে হোলির হটকেক মোদী-শাহ মুখোশ

আরও ৪০০ মোদী আর ২০০ অমিতের অর্ডার দিয়েছেন রাঁচীর আপার বাজারের সন্তোষ শর্মা।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

রাঁচী শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০৩:১২
Share:

পসরা। হোলির আগে রাঁচীর আপার বাজারে বিকোচ্ছে মোদী মুখোশ। নিজস্ব চিত্র

আরও ৪০০ মোদী আর ২০০ অমিতের অর্ডার দিয়েছেন রাঁচীর আপার বাজারের সন্তোষ শর্মা।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ফল বেরোতে এখনও ২৪ ঘণ্টা দেরী। কিন্তু তার আগে স্রেফ বুথ ফেরত সমীক্ষার আঁচেই হোলির বাজারে পুরো বিকিয়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের মুখোশ। আজ সকাল থেকেই রং-পিচকারির দোকানদারদের মুখোশের স্টকে টান। চাহিদা বুঝে দোকানদাররাও মোদী-শাহ মুখোশের জন্য নতুন করে অর্ডার দিচ্ছেন।

গত কাল বিকেলেও রং, আবির, পিচকারির দোকানগুলিতে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছিল রাক্ষস, খোক্কোস থেকে শুরু করে ড্রাকুলার মুখোশ। সন্ধ্যার পর থেকেই রাক্ষস-খোক্কসদের গো-হারান হারিয়ে দিলেন মোদী, শাহরা। হোলি মার্কেট ঘুরে দেখা গেল মোদীর মুখোশ বাজার থেকে কার্যত ভ্যানিশ।

Advertisement

রাঁচীর আপার বাজারে গত ১৫ বছর ধরে ব্যবসা করছেন সন্তোষ শর্মা। স্টেশনারি জিনিসপত্রের দোকান। হোলির সময় দোকানের সামনে কাউন্টার খুলে হোলির পসরা সাজিয়ে বসেন। তাঁর কথায়, ‘‘আজ সকালে লোহারদাগা থেকে এক দল যুবক মোদীর ১০০ মুখোশ কিনে নিয়ে গেল। সব শেষ। আরও ৪০০ মোদী ও ২০০ অমিত শাহ অর্ডার দিয়েছি।’’

আগামী কাল ভোটের ফল যদি বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলের সঙ্গে মিলে যায় তাহলে মুখোশের দামও যে বেড়ে যাবে সে ব্যপারে নিশ্চিত বিক্রেতারা। তাই বেশি করেই প্রধানমন্ত্রীর মুখোশ অর্ডার দিয়ে রাখছেন সবাই। ডেলি মার্কেটে প্রায় ১৫০টির মতো রং-পিচকারির দোকান। বাজার কমিটির সদস্য রাহুল সিংহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্লাস্টিকের মুখোশের দাম ১০ টাকা। রবারের মুখোশের দাম ২৫০ টাকা। দামি রবারের মোদী-মুখোশের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিল বাহুবলী-মুকুট। অন্য এক বিক্রেতা জানান, বাহুবলী সিনেমার ওই মুকুটের চাহিদাও এবার ভাল। এক একটার দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। তবে শেষ বেলায় বাহুবলীকে হারিয়ে দিচ্ছেন মোদী।

রাজনীতির ময়দানে ফল যাই হোক না কেন রাঁচীর হোলি বাজারে মোদীকে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন কেজরীবাল এবং সনিয়া। গত পরশু পর্যন্ত তাঁদের মুখোশের চাহিদা কিছুটা হলেও ছিল। আর রাহুল গাঁধী? এক বিক্রেতার কথায়, ‘‘কয়েকটা এনেছিলাম। বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আর অর্ডার দিতে সাহস পাচ্ছি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement