ছেলে বা মেয়েটা কী একটু বদলে যাচ্ছে? পাল্টে যাচ্ছে তাঁর প্রতি দিনের আচার-আচরণ, ব্যবহার? মোবাইল আর ভূতের সিনেমায় আটকে থাকছে চোখ? এ বার সে দিকে নজর রাখতে শুরু করল দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্লু হোয়েলে মৃত্যুর ঘটনা উঠে আসছে সংবাদের শিরোনামে। ভয়ঙ্কর এই গেমে বাড়ছে আসক্তির মাত্রাও। তাই নতুন করে যাতে কেউ আর নীল তিমির খপ্পরে না পড়ে, সে কারণেই পুলিশের তরফে শুরু হয়েছে এই নজরদারি।
আরও পড়ুন: হাতে আঁকা তিমি, কিশোরী ঝাঁপাল লেকের জলে!
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, এই গেম নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে একটি সাইবার সেল গঠন করা হয়েছে। বেশ কিছু হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে তারা। ব্লু হোয়েল নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে উচ্চ পর্যায়ের একটি মিটিং-ও হয়েছে। এর পরেই সাইবার সেলের তরফে রাজধানীর প্রতিটি স্কুল, কলেজে এবং পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কাছে পাঠানো হয়েছে এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা। রাস্তাঘাটে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রচার কর্মসূচিও।
আরও পড়ুন: ব্লু হোয়েল বন্ধে নির্দেশ হাইকোর্টের
ইতিমধ্যে জার্মানি থেকে ওই খেলার ‘কিউরেটর’ গ্রেফতার হয়েছেন। তার আগে মস্কো থেকে ধরা পড়েছে গেমের ‘অ্যাডমিন’ও। কিন্তু তাতেও রাশ টানা যাচ্ছে না এই ভয়ঙ্কর গেমের নেশায়। ব্লু হোয়েল নামক এই সুইসাইড গেমটি অন্য গেমের মতো স্মার্টফোনে ডাউনলোড করা যায় না। কিছু গ্রুপ থেকে খেলার লিঙ্ক পাঠানো হয়। গ্রুপের ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা কিউরেটর’ কিছু প্রশ্ন করে টিনএজারদের বেছে নেন। তারপর আসতে থাকে একের পর এক নির্দেশ। ৫০টি চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয়। শেষ ধাপ আত্মহত্যা। এখনও পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে নীল তিমির কবলে পড়ে আত্মহত্যার ঘটনা শতাধিক। এ দেশেও একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নীল তিমির গ্রাসে আরও যে কত জন