বিকাশ দুবের মা ও বিকাশ দুবে। ছবি: সংগৃহীত।
কানপুরের বিকরুতে ডিএসপি-সহ আট পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে আঙুল উঠছে আর এক পুলিশকর্মীর দিকেই। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের সন্দেহ, বৃহস্পতিবার রাতের অভিযানের খবর আগেভাগেই গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন চৌবেপুর থানার স্টেশন অফিসার বিনয় তিওয়ারি। গত কাল সন্ধেয় বিনয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তার পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। কানপুরের আইজি মোহিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময়ে দুষ্কৃতীদের মোকাবিলা না-করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বিনয়।
পুলিশের উপরে হামলার পরে ৩৬ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও বিকাশ ও তার দলবলের খোঁজ পায়নি পুলিশ। একটি সূত্রের খবর, বিকাশের বাবা রাজকুমার দুবেকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে ছেলের গতিবিধি জানার চেষ্টা হচ্ছে। যদিও ছেলের কাজে চরম ক্ষুব্ধ বিকাশের পরিবার। তার মা সরলা দেবী জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে যেন মেরে ফেলে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘‘গত চার মাস বিকাশের সঙ্গে দেখা হয়নি। ছোট ছেলের সঙ্গে লখনউয়ে থাকি। তবে বিকাশের অপকর্মের জন্য বারেবারেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমাদের।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘ওর আত্মসমর্পণ করা উচিত। নইলে ওকে খুঁজে পেলেই এনকাউন্টার করে মারা হোক। সারা জীবন অনেক পাপ করেছে। ওকে মেরে ফেলা উচিত।”
আরও পড়ুন: ৮ পুলিশ খুনের পাণ্ডা বিকাশ দুবে এখনও অধরা, বাড়ি ভেঙে দিল কানপুর প্রশাসন
বিকাশ ও সঙ্গীদের গ্রেফতারের জন্য ২৫টি দল তৈরি করেছে পুলিশ। আসরে নেমেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সও। বিকাশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পাঁচশোরও বেশি মোবাইলের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার ব্যাপারে তথ্য দিলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারেরও ঘোষণা করা হয়েছে। এ দিন ইরশাদ নামে এক অপরাধীকে গ্রেটার নয়ডা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সময় দু’পক্ষের গুলিযুদ্ধে আহত হয় ওই দুষ্কৃতী। প্রাথমিক শুশ্রূষার পরে ইরশাদকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।