নিহত: ওসি ভাস্কর কলিতা
লড়াইয়ের শুরুতেই নিহত অভিযানের নেতা, অসমের তিনসুকিয়ায় বড়ডুমসা থানার ওসি ভাস্কর কলিতা। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আটকাতেই পারেনি বুলেট! গত কাল অসমের তিনসুকিয়ায় আলফা জঙ্গিদের গুলিতে ওই পুলিশ অফিসারের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের গুণগত মান নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে অসম পুলিশের বিভিন্ন মহল থেকেই।
অসম পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের জন্য ১৯৯৫ সালে, হিতেশ্বর শইকিয়ার শাসনকালে কেনা হয়। এই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট যে ৭.৬২ মিলিমিটার বুলেটের আঘাত ঠেকাতে সক্ষম নয়, সেটা ২০০৩ সালেই বিধানসভার ‘পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি’ রিপোর্ট দেয়। সিএজি রিপোর্টেও খারাপ মানের ওই জ্যাকেট কেনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। বলা হয়, ডিআরডিও-র জ্যাকেট পিছু ৪২০০ টাকা দর দিলেও অন্য সংস্থা থেকে খারাপ মানের জ্যাকেট ৪২৯০ টাকা দরে কিনেছে পুলিশ। তার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি তরুণ গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার।
পুলিশেরই এক সূত্র গত কালের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, জঙ্গিরা যে বাড়িতে ঢুকেছিল তা ঘিরে ফেলতেই ভিতর থেকে গুলি ছুটে আসে। মোট ন’টি গুলির মধ্যে দু’টি গুলি কলিতার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ভেদ করে বুক ও পেটে ঢোকে। বিরাট বাহিনী থাকলেও পাঁচ জঙ্গি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ডিজিপি কুলধর শইকিয়ার ব্যাখ্যা, ‘‘অনেক সময় আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে বারবার লাগলে তা ভেদ করতে পারে।’’ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সঞ্জয় কৃষ্ণের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নিহত ওসির পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও অবসরের বয়স পর্যন্ত প্রাপ্য মাসিক বেতন তাঁর স্ত্রীকে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, আলফা সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া কলিতার মৃত্যুতে ‘শোক’ প্রকাশ বিবৃতি পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘প্রাণরক্ষায় আলফা সদস্যরা পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। আলফা দীর্ঘদিন ধরেই অসম পুলিশের উপরে আক্রমণ করা থেকে বিরত আছে।’’