সি এস কারনান। নিজস্ব চিত্র।
তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূরে দোতলা রিসর্টের এক তলার ফ্ল্যাটের দরজা খুলেই অপরিচিত কয়েক জনকে দেখে মঙ্গলবার বিকেলে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়। ওই ব্যক্তিরা তাঁকে গ্রেফতার করতে এসেছেন শুনে বেজায় রেগে গিয়ে তাঁদের সাসপেন্ড করার হুমকিও দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
কলকাতা থেকে যাওয়া পুলিশের বিশেষ দলের সদস্যেরা শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করেন প্রৌঢ়কে। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চিন্নাস্বামী কারনান।
বুধবার দুপুরে ধৃত বিচারপতিকে নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিশেষ দলটি কলকাতায় পৌঁছয়। ততক্ষণে অবশ্য কারনানের কারাদণ্ড স্থগিত রাখার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: শবাসন সামাল দিয়ে বৃষ্টিযোগ মোদীর
বেঞ্চের দুই বিচারপতি জানিয়ে দেন, যে হেতু প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই দণ্ড দিয়েছে, সে হেতু তাঁদের এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার এক্তিয়ার নেই। কারনানকে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চেরই দ্বারস্থ হতে হবে। কলকাতা বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে বেলা সওয়া তিনটে নাগাদ তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ধৃত বিচারপতিকে পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
গ্রেফতারির পরে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে বিচারপতি কারনানকে নিয়ে রীতিমতো তটস্থ ছিল রাজ্য পুলিশের ওই দলটি। কলকাতা বিমানবন্দরে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল থেকে যাওয়া চিকিৎসকের দল গিয়ে বিচারপতি কারনানকে দেখার পরে নিশ্চিন্ত হয় পুলিশ।
পুলিশের দাবি, কেরল, তামিলনাড়ুর নানা জায়গায় লুকিয়ে ছিলেন কারনান। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে নিজের মোবাইলটি সুইচ অন’ করে হায়দরাবাদ পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে সাহায্য করছিলেন এক ব্যবসায়ী ও এক আইনজীবী। ১৬ জুন কোয়েম্বত্তূরের ওই রিসর্টে পৌঁছন তিনি। গত সপ্তাহে এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশের নজরে চলে আসেন কারনান।
...তোমার বিচার
অজিত সেনগুপ্ত
• কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি
• অবসরের দু’বছর পরে
১৯৯৬-এ গ্রেফতার
• অভিযোগ ‘ফেরা’ লঙ্ঘনের
• চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দু’সপ্তাহ জেলে পাঠান
• সাত দিন পরে কলকাতা
হাইকোর্টে জামিন
চিন্নাস্বামী কারনান
• কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি
• অবসর নেওয়ার আট দিন পরে গ্রেফতার
• অভিযোগ আদালত অবমাননার
• বিচার বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি
• সুপ্রিম কোর্টে ছ’মাসের কারাদণ্ড