—প্রতীকী চিত্র।
বৈবাহিক জীবনে খুশি ছিলেন না। অন্য এক তরুণের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে পরিবারের কথা ভেবে দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে পারছিলেন না। শেষে স্থির করেছিলেন, একমাত্র যদি নিজেকে মৃত বলে প্রমাণ করতে পারেন— তবেই এই বৈবাহিক জীবনের বাঁধন কাটিয়ে নতুন সংসার গড়তে পারবেন। সেই মতো প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে এক ভিক্ষুককে খুন করে তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন মহিলা। ঘটনাটি গুজরাতের রাজকোটের। এমনকি নিজের মোবাইল এবং জুতোও ফেলে রেখেছিলেন মৃতদেহের কাছেই।
পরিকল্পনা ছিল প্রায় নিখুঁত। শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ি উভয় পরিবারই ধরে নিয়েছিল, মহিলা গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, মাসখানেকের মধ্যেই তিনি আবার ফিরে আসেন বাপের বাড়িতে। বাবার কাছে জানান গোটা বিষয়টি। কী কারণে খুন করেছিলেন, কেন বৈবাহিক জীবন থেকে মুক্তি চাইছিলেন— সবই জানান বাবাকে। মেয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পর হঠাৎ আবার দেখতে পাওয়ায় দৃশ্যতই চমকে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা। ধাতস্থ হওয়ার পর মেয়েকে পরামর্শ দেন পুলিশকে বিষয়টি জানানোর জন্য। কিন্তু মেয়ে তাতে রাজি না হওয়ায় তিনি নিজেই পুলিশকে সতর্ক করেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবারই ওই মহিলা ও তাঁর প্রেমিককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অপরাধের কথা তাঁরা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগুনে পোড়ানোর জন্য একটি মৃতদেহ খুঁজছিলেন তাঁরা। কিন্তু পাচ্ছিলেন না। শেষে মহিলার প্রেমিক রাস্তার ধারে ওই ভিক্ষুককে বসে থাকতে দেখেন। ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছেন, গত ৩ জুলাই রাতে উভয়ে মিলে একটি গাড়িতে করে ওই ভিক্ষুককে অপহরণ করছিলেন। এর পর গাড়িতেই শ্বাসরোধ করে খুন করেন তাঁকে। একটি চটের বস্তার মধ্যে সেই দেহ ভরে রেখে দিয়েছিলেন তাঁরা। পরে ৫ জুলাই ২০ লিটার ডিজেল ও কাঠের তক্তা ব্যবহার করে দেহটি পুড়িয়ে দেন তাঁরা।