কেরলে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে ধৃত মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দা। — প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে কেরলে গ্রেফতার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দা। ধৃতের নাম শিববাহাদুর ছেত্রী। বাড়ি মুর্শিদাবাদে। শনিবার সকালে কেরলের এর্নাকুলম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে স্ত্রী মামণি ছেত্রীর (৩৯) সঙ্গে বচসা বাধে শিববাহাদুরের। সেই সময়ে তিনি স্ত্রীর শরীরে দা দিয়ে কোপ বসিয়ে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর দ্রুত ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় মহিলার। কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে এর্নাকুলম গ্রামীণ পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহের জেরে স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারেন শিববাহাদুর।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতি এর্নাকুলমের কাছে পালাক্কাত্তুতাজ়মে একটি কলোনিতে থাকতেন। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দু’জনের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। তর্কাতর্কি ক্রমে বাড়তে থাকে এবং বচসার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন শিববাহাদুর। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করছিলেন অভিযুক্ত। সম্ভবত সেই সন্দেহের বশেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। খুনের প্রকৃত কারণ খুঁজতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এর্নাকুলম (গ্রামীণ)-এর পুলিশ সুপার বৈভব সাক্সেনার নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিববাহাদুরকে গ্রেফতার করে ইতিমধ্যে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে তিনি এই ঘটনা ঘটালেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নিহত মহিলার দেহও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়ায় আরও কিছুটা গতি আসতে পারে বলে অনুমান।