নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
সরকারি প্রকল্প, শিলান্যাস, যোজনার উপভোক্তাদের সঙ্গে কথোপকথন এবং জনসভা— এ সবের মোড়কে আদতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারই শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্তত এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পরিকল্পনা, আগামী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে দেশের প্রায় সব ক’টি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে অন্তত এক বার (কোথায় দু’বারও) পা রাখবেন এবং জনসভা করবেন মোদী।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ভারত সফর সেরে ফেলেছেন মোদী। আগামী ১৩ জানুয়ারি বিহারে সরকারি প্রকল্প শিলান্যাসের পাশাপাশি, কয়েকটি জনসভাও করতে পারেন তিনি। আর আজ থেকে তিন দিনের জন্য মোদী ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’ উপলক্ষে তাঁর নিজের রাজ্যে। যাওয়ার আগে ভিডিয়ো মাধ্যমে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র উপভোক্তাদের সঙ্গে কথোপথন সারলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ শুধু সরকারের একটি যাত্রা নয়, গোটা দেশের যাত্রা। তিনি বলেন, ‘‘মোদীর গ্যারান্টির গাড়ি প্রত্যেকের দরজা এবং দেশের প্রতিটি কোনায় পৌঁছচ্ছে। যে সকল গরিব মানুষ সরকারের প্রকল্পের সুবিধে পাওয়ার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করেছেন, তাঁরা আজ তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন। সরকার উপভোক্তাদের দ্বারে পৌঁছচ্ছে ও সক্রিয় ভাবে সুবিধা দিচ্ছে।’’ আজ আয়ুষ্মান যোজনার কথাও তুলে প্রধানমন্ত্রী জানান, গরিবদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা প্রদান, বিনামূল্যে ডায়ালিসিস ও জনঔষধি কেন্দ্রগুলিতে কম দামের ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য দিকে, মহিলাদের ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার পাশাপাশি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য মুদ্রা যোজনা প্রকল্প, কৃষকদের জন্য কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন মোদী।
প্রসঙ্গত, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ প্রকল্পের সূচনা করেন মোদী। ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর এই যাত্রার সূচনা হয়। যাত্রা শুরুর পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন, যা প্রচারের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ১২ জানুয়ারি তাঁর মহারাষ্ট্রে যাওয়ার কথা। সেখানে নবি মুম্বইয়ে ‘মুম্বই ট্রান্স হার্বার লিংক’-এর উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সে দিনই নাসিকে জাতীয় যুব উৎসবের উদ্বোধন করার কথা তাঁর। পরে রোড শোয়ের পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর।