G20 Summit 2023

এলেন, হাত নেড়েই ফিরে গেলেন তিনি

বিকেল পাঁচটা। আন্তর্জাতিক মিডিয়া সেন্টার সংলগ্ন এলাকা তল্লাশি ও কর্ডন করা শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) ও দিল্লি পুলিশ। নিয়ে আসা হয় স্নিফার ডগ।

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই

জি২০-এর মূল অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গিয়েছিল দুপুরের পরেই! একে একে নিজের দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানেরা। নিরাপত্তাও ঢিলেঢালা হতে শুরু করে মধ্যাহ্নভোজের পরে। কার্যত জি২০-এর মঞ্চ তখন ভাঙা হাট। উদ্যোক্তারা সব গুটিয়ে নিয়ে বাড়ি যেতে পারলে বাঁচেন। তখনই হঠাৎ গুঞ্জনটি ছড়িয়ে পড়ল মিডিয়া সেন্টারে— তিনি আসছেন! জি২০ উপলক্ষে মিডিয়া সেন্টারের পাশেই খোলা হয়েছিল বিভিন্ন রাজ্যের হস্তশিল্পের প্রদর্শনী— ক্র্যাফ্ট বাজার, যা ঘুরে দেখতে বিকেল ছ’টায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

শোনা গেল হস্তশিল্পের বাজার ঘুরে তিনি মিডিয়া সেন্টারেও এসে দু’দণ্ড বসবেন। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ অনেকে তো দাবি করে বসলেন— সাংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ দেবেন, এমনকি কথাও বলবেন তাঁদের সঙ্গে, যা তাঁকে নয় বছরের শাসনকালে কখনও করতে দেখা যায়নি।

বিকেল পাঁচটা। আন্তর্জাতিক মিডিয়া সেন্টার সংলগ্ন এলাকা তল্লাশি ও কর্ডন করা শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) ও দিল্লি পুলিশ। নিয়ে আসা হয় স্নিফার
ডগ। বিস্ফোরকের তল্লাশি শুরু করেন এনএসজি কমান্ডোরা। মিডিয়া সেন্টারের মাঝামাঝি এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বসার জন্য নিয়ে আসা হয় সোফা।

Advertisement

অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে সাড়ে সাতটা নাগাদ মিডিয়া সেন্টারে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুত পায়ে হেঁটে আসেন ঘিরে রাখা এলাকায়। মুহূর্তে চারপাশ থেকে ধেয়ে আসে প্রশ্ন। গোরক্ষপুর, দিল্লি কিংবা নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর ‘রোড শো’-য় যে ভাবে ভোটারদের উদ্দেশে হাত নাড়তে নাড়তে এগিয়ে যেতে দেখা যায় মোদীকে, ঠিক তেমনই এখানেও এক পাক খেয়ে চর্তুদিকে উপস্থিত সাংবাদিকদের ‘ধন্যবাদ’ বলে ফিরতি পথ ধরলেন তিনি। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেড়া মোদীর এই মিডিয়া সেন্টার ভ্রমণের ভিডিয়ো পোস্ট করে এক্স-এ লিখেছেন, ‘সাহেব প্রায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফেলেছিলেন আর কি!’

ন’বছর ধরে দেশের মাটিতে সাংবাদিকদের সরাসরি প্রশ্নের মুখোমুখি না-হওয়ার রেকর্ড অক্ষুণ্ণই রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ দিকে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মানবাধিকার রক্ষা এবং নাগরিক সমাজ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। রবিবার ভিয়েতনামের হ্যানয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান বাইডেনই। দিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতেও বলা হয়েছিল, ‘‘দু’দেশের পাকাপোক্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বহুত্ববাদ ও সব নাগরিকের সমানাধিকার রক্ষা করা যে জরুরি, সে বিষয়ে দু’নেতাই সহমত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement