প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
রাজধানীর সীমানায় যখন কৃষক আন্দোলন ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ‘দিল্লি চলো’-র ডাকে, লোকসভার মুখে দাঁড়ানো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চেষ্টা করছেন দেশের অন্নদাতাদের মন জয়ে। গতকাল আমদাবাদের পর এ বার দিল্লির ভারত মণ্ডপমের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সরকারি সমবায় ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি পরিকাঠামো বিস্তারের বার্তা দিলেন তিনি। শস্য মজুতের জন্য ১১টি রাজ্যে ১১টি গুদামের উদ্বোধন করলেন তিনি, ‘প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি’র (পিএসিএস বা প্যাকস) বিস্তারের মাধ্যমে। এটি সরকারের সমবায় ক্ষেত্রের ‘ওয়ার্ল্ডস লার্জেস্ট গ্রেন স্টোরেজ’ পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত।
পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫০০টি ‘প্যাকস’-এরও শিলান্যাস করলেন মোদী, যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরও শস্যগুদাম এবং অন্যান্য কৃষি পরিকাঠামো তৈরি করা যায়। ১৮ হাজার চলতি ‘প্যাকস’-কে কম্পিউটার ব্যবস্থায় আনার জন্য প্রকল্পেরও আজ উদ্বোধন হল। জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পগুলি নাবার্ডের সহায়তায় বাস্তবায়িত হবে। এর ফলে কৃষি পরিকাঠামো তহবিল, কৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণের পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত করা সম্ভব হবে। ফলস্বরূপ, এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত পিএসিএস-গুলি সহজেই ভর্তুকি পাবে এবং পরিকাঠামোর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করতে পারবে।
মোদীর কথায়, গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং উন্নয়ন ছড়িয়ে দিতে সমবায় ক্ষেত্র সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিতে পারে। তিনি বলেন, “এই যোজনার মাধ্যমে গোটা দেশে হাজার হাজার শস্যভান্ডার ও গুদাম তৈরি হবে।” পাশাপাশি, সরকারি সমবায় সংস্থার কাছে তাঁর আবেদন, ভোজ্য তেল থেকে খাদ্যশস্য অথবা সার—আমদানি নির্ভরতা কমানোয় দেশকে সাহায্য করতে।
প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, “সরকারি সমবায় সংস্থা যদি দেশের আত্মনির্ভরতার জন্য কাজ না করে, তা হলে কে করবে! আমাদের চেষ্টা করতে হবে ভোজ্য তেল রফতানি কমিয়ে দেশে উৎপাদন বাড়াতে। পাশাপাশি, অশোধিত জ্বালানি তেল, পেট্রল, ডিজ়েলেও রফতানি কমানোর চেষ্টা করতে হবে।” ইথানলের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।