প্রধানমন্ত্রী নতুন করে সাজানো সেন্ট্রাল ভিস্টা, কর্তব্য পথ-এর উদ্বোধন করবেন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে অনেক দিন ধরেই সংবিধান-প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের থেকে মৌলিক কর্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন। আজ দিল্লির রাজপথের নাম বদলে ‘কর্তব্য পথ’ করার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সেরে ফেলে মোদী সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এত দিন অধিকারের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে কর্তব্যের কথা ভুলে যাওয়া হয়েছে। এখন থেকে সংবিধানের মৌলিক কর্তব্যের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নতুন করে সাজানো সেন্ট্রাল ভিস্টা, কর্তব্য পথ-এর উদ্বোধন করবেন। ইন্ডিয়া গেটের পিছনের ছত্রিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিরও আবরণ উন্মোচন করবেন তিনি। তার আগে আজ নয়াদিল্লি পুরসভায় রাজপথের নাম বদলে ‘কর্তব্য পথ’ নামকরণ করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে। দিল্লির সাংসদ, কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষি লেখির নেতৃত্বে পুরসভার পরিচালন কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকের পরে লেখি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বরাবরই কর্তব্যে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। দেশের প্রতি কর্তব্য, একে অপরের প্রতি কর্তব্য। কিন্তু আমরা এত দিন অধিকারের কথা বলতে গিয়ে কর্তব্যের কথা ভুলে গিয়েছি।’’
লেখির যুক্তি, এত দিন মন্ত্রী, আমলাদের মধ্যে রাজত্ব, শাসনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কাজ করার মনোভাব ছিল। এখন রাজপথের নাম বদলে কর্তব্য পথ হওয়ায় সকলে কর্তব্যের অনুপ্রেরণায় কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও কর্তব্যের মনোভাব থেকেই কাজ করেন বলে লেখির দাবি। বিরোধীদের প্রশ্ন, সড়কের নাম বদল হলে কী ভাবে মনোভাব বদল হবে?
সংবিধানে অবশ্য প্রথমে মৌলিক কর্তব্যের কোনও উল্লেখ ছিল না। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে জরুরি অবস্থার সময় মৌলিক কর্তব্যের বিষয়টি ঢোকানো হয়। মোদী জমানায় বারবার বাক্স্বাধীনতা-সহ বিভিন্ন মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্টো দিকে প্রধানমন্ত্রী অধিকারের বদলে কর্তব্যে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। মীনাক্ষি বলেন, ‘‘সবাই নিজের কর্তব্য পালন করলেই অন্যের অধিকার রক্ষা হবে। আজকের বৈঠকে যেমন আলোচনা হয়েছে, পিতা নিজের কর্তব্য পালন করলে সন্তানের অধিকার রক্ষা হয়।’’