এ বার কাজ শুরু হবে আইএনএস বিক্রান্তের। ছবি: পিটিআই।
জলে ভেসেছে আগেই। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় নৌসেনার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পালা। আগামী ২ সেপ্টেম্বর সেই আনুষ্ঠানিকতাটুকু সম্পন্ন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেবেন দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার পরে ২০২১ সালের অগস্টের গোড়ায় বিক্রান্তের ‘সি ট্রায়াল’ শুরু হয়েছিল। নৌসেনা জানিয়েছে সফল ভাবেই সমুদ্র-যুদ্ধে দক্ষতা প্রমাণ করেছে বিক্রান্ত। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ হারকিউলিস, পঞ্চাশের দশকে কিনেছিল ভারত। নাম দেওয়া হয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল ভারতীয় নৌসেনার সেই বিক্রান্তের। প্রায় ৪ দশক কাজ করার পরে নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্বে বিক্রান্ত অবসর নেয়। ভেঙে ফেলা হয় জাহাজটি। কিন্তু তারই স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে প্রথম ‘ভারতীয়’ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজটি।
২৬২ মিটার উঁচু, ৬২ মিটার চওড়া এবং ৫৯ মিটার উঁচু আইএনএস বিক্রান্তে ১,৭০০-রও বেশি নৌসেনা এবং অফিসারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে মহিলা অফিসারদের থাকার জন্য পৃথক ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮ নট (প্রায় ৫২ কিলোমিটার)। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০ মিটারেরও বেশি। ফলে ‘অ্যারেস্টেড হুক’ ব্যবহার করে তেজসের মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে।
এক সঙ্গে ৩০টি যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ওঠানামা করতে পারবে বিক্রান্ত থেকে। বিক্রান্ত হাতে এলে এই প্রথম দু’টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের নিয়ন্ত্রণ পাবে ভারতীয় নৌসেনা। অন্যটি হল, ২০১৪ রাশিয়া থেকে কেনা আইএনএস বিক্রমাদিত্য।