আদানি বিতর্কে সরকারের অবস্থান হল শিল্প সংস্থা সম্পর্কে যা পদক্ষেপ করার নিয়ামক সংস্থা করবে। বিজেপির দলগত অবস্থানও তাই। ছবি: পিটিআই।
‘‘আজ জম্মু-কাশ্মীরে লোকতন্ত্রের উৎসব হচ্ছে। প্রত্যেক বাড়িতে তেরঙা পতাকা উড়ছে। কিছু জন বলতেন, তিরঙা উড়লে উপত্যকায় অসুবিধে হবে। সময়ের মজা দেখুন, এখন তাঁরাও সেখানে শামিল হয়েছেন। এখন উপত্যকায় সিনেমা হল হাউসফুল হচ্ছে।’’
‘‘নিরাশায় যাঁরা ডুবে আছেন, তাঁরা আত্মনিরীক্ষা করুন। ভাবুন। গালাগালি করে লাভ নেই।’’
‘‘ভারতীয় সমাজ ‘নেগেটিভিটি’ সহ্য করে। স্বীকার করে না। যাঁরা স্বপ্ন দেখছেন, এক সময় এখানে বসতেন, আবার কবে বসবেন, তাঁরা আত্মনিরীক্ষা করুন। আপনাদের চিন্তাভাবনার প্রয়োজন আছে।’’
‘‘ভারতে বড় বড় সেতু হবে, এমন দেশ দেখতে চাই আমরা। দেখতে চাই রেল সংস্কারের পথে হাঁটুক। ইংরেজরা রেল যেমন অবস্থায় ফেলে দিয়ে গিয়েছিল, তেমনই থেকে গিয়েছিল। এখন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন চলে এসেছে। ৭০ সাল ৭০ বিমানবন্দর ছিল। ৯ বছরে ৭০টি বিমানবন্দর হয়েছে।’’
‘‘মোদীর বিরুদ্ধে শুধু শুধু অভিযোগ করে লাভ নেই।’’ আদানি-বিতর্কে ‘জবাব’ প্রধানমন্ত্রীর।
‘‘ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। মোদী সরকার তা করেনি।’’
‘‘কখনও মজা করা হচ্ছে। এ কেমন প্রধানমন্ত্রী! যার মুখে কেবল শৌচাগারের কথা। হ্যাঁ, ইনি এমন প্রধানমন্ত্রী যিনি মা-বোনদের ইজ্জতের কথা ভাবেন। স্যানিটারি প্যাডের কথা বলি। গরিব মা-বোনদের জীবন রক্ষার কাজ করি।’’
‘‘শুধু হার্ভার্ড নয়, বিশ্বের সব বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় কংগ্রেসকে নিয়ে পড়াশোনা করবে।’’ কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মন্তব্য মোদীর।
‘‘যে গরিব মানুষ পাকা বাড়ি পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, তারা আপনাদের (বিরোধী) মিথ্যা কেমন করে বিশ্বাস করবেন? ১০ কোটি মানুষের জীবন বেঁচে গিয়েছে। মোদী তাঁদের কাজে লেগেছে। ৮ কোটি পরিবার নলবাহিত পানীয় জল পাচ্ছেন। তারা কী ভাবে আপনাদের অভিযোগ বিশ্বাস করবেন? ১৪০ কোটি মানুষের আশীর্বাদ আমার উপরে রয়েছে। ওটাই আমার সুরক্ষাকবচ।’’
‘‘মোদীর উপর ভরসা টিভির পর্দায় বসে আসেনি। খবর ছাপিয়ে হয়নি। দেশের জন্য লড়েছে। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য নিংড়ে দিয়েছি (নিজেকে)। যে ভরসা দেশবাসীর মোদীর উপরে আছে, তা এদের চিন্তাভাবনার বাইরে।’’
‘‘ইডিকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। বিরোধীদের এক মঞ্চে এনেছে ওরা। ভোটাররা যা পারেনি, তা করেছে ইডি।’’
‘‘গণতন্ত্রে সমালোচনা দরকার। কিন্তু তা গঠনমূলক হওয়াই উচিত। কিন্তু এখানে শুধু সেনাকে গালি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে গালি, আরবিআইকে গালি (দিচ্ছেন বিরোধীরা)।’’
‘‘মহামারী বিশ্বকে বিভক্ত করেছে এবং তার কারণে বেশ কয়েকটি দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশে তীব্র মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং খাদ্য সঙ্কট রয়েছে। কোন ভারতীয় গর্বিত হবেন না যে এমন সময়েও আমাদের দেশ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি?’’
‘‘২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে দেশে।’’ নাম না করে কংগ্রেসকে কটাক্ষ মোদীর। বিরোধীরা প্রতিবাদ জানান। প্রবল কলরবে থমকে গেলেন মোদী।
‘‘ইউপিএ আমলের ১০ বছর কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত শুধু সন্ত্রাসবাদী হামলা হত। সবাই ভয়ে ভয়ে থাকতেন। জম্মু থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত— হিংসা আর হিংসার ঘটনা।’’
‘‘ভারত সম্পর্কে আজ বিশ্বে ইতিবাচক মনোভাব, আশা এবং আস্থা তৈরি হয়েছে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। এমন গর্বের বিষয়ে কিছু মানুষ বিরক্ত হয়েছেন।’’
‘‘৯ বছরে ৯০ হাজার স্টার্ট আপ হয়েছে দেশে। স্টার্ট আপে ভারতে এখন তৃতীয়। দেশের সর্বত্র আশার আলো। কিন্তু কিছু মানুষ এমন নিরাশার মধ্যে ডুবে আছেন, এই সফলতা দেখতে পান না।’’
‘‘রাষ্ট্রপতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের গর্ব বাড়িয়েছেন। আজ, স্বাধীনতার কয়েক বছর পর, উপজাতী সম্প্রদায়ের মধ্যে গর্ববোধ এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জাতি এবং কক্ষের (সংসদ) তার কাছে কৃতজ্ঞ।’’
‘‘লোকসভায় গতকাল কয়েক জনের মন্তব্যের পরে সমগ্র ‘ইকো সিস্টেম’ যেন নড়ে গিয়েছে। এবং তাঁদের সমর্থকেরা উল্লসিত।আমি গতকাল দেখছিলাম। কয়েক জনের বক্তৃতার পর, কিছু লোক খুশি হয়ে বলছেন, ‘ইয়ে হুই না বাত’। হয়তো তারা ভাল ঘুমিয়েছেন এবং (সময়মতো) ঘুম থেকে উঠতে পারেননি।’’