প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
সুরাতে বিশ্বের বৃহত্তম অফিস তথা সুরাত হিরে বাণিজ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন। অন্য দিকে বারাণসীতে ভারত সঙ্কল্প যাত্রা, কাশী তামিল সঙ্গমমের মতো অনুষ্ঠানে যোগ। সব মিলিয়ে ব্যস্ত রবিবার কাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার প্রতিটি স্তরে জড়িয়ে রইল রাজনীতি আর প্রচারের রং।
আন্তর্জাতিক হিরে ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র গুজরাতের সুরাতে হিরে বাণিজ্য কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকায় তৈরি এই বাণিজ্য কেন্দ্রের প্রায় সাড়ে চার হাজার হিরে ব্যবসা কেন্দ্র থাকতে পারে। খুচরো ব্যবসার কেন্দ্রের পাশাপাশি
এতে রয়েছে আমদানি-রফতানির জন্য ‘কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স হাউস’ এবং আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং ও সেফ ভল্টের সুবিধে।
আজ এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করে মোদী বলেন, ‘‘সুরাত হিরে এক্সচেঞ্জের উদ্বোধন একটি মাইলফলক। আন্তর্জাতিক মানের এই ব্যবসা কেন্দ্র হিরে শিল্পে বিপ্লব আনবে। ফলে আন্তর্জাতিক হিরে ব্যবসায়ে ভারতের অবস্থানের উন্নতির পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতির উন্নতি হবে। বাড়বে কাজের সুযোগও।’’
এর পরে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ ও ‘কাশী তামিল সঙ্গমমে’র অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’য় যোগ দিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর ‘গরিবি হটাও’ স্লোগানকে বিঁধে মোদী বলেন, ‘‘গরিবি হটাওয়ের স্লোগান দেওয়া এক। কিন্তু এক জন গরিব এখন বলেন বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার স্টোভ আসায় ধনীর সঙ্গে পার্থক্য ঘুচেছে। পাকা বাড়িতে থাকতে পেরে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’’ কংগ্রেসকে আক্রমণের পাশাপাশি এ ভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পগুলির প্রচারে নেমেছেন তিনি।
কাশীর সঙ্গে তামিলনাড়ুর সংস্কৃতির মেলবন্ধন হিসেবে এ নিয়ে দ্বিতীয় বার আয়োজন করা হয়েছে কাশী-তামিল সঙ্গমমের। মোদীর বক্তব্য, ‘‘বারাণসীর সাংসদ হিসেবে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আমার কর্তব্য।’’
বারাণসীতে এক অনুষ্ঠান থেকে অন্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ ছেড়েছে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো।
বারাণসীতে এক দল পড়ুয়ার সঙ্গেও কথা বলেছেন মোদী। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা এক কিশোরীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সে সব আনাজই খায় কি না। জবাবে কিশোরী জানিয়েছে, করলা খেতে ভাল লাগে না তার।