National News

শেষ পর্যন্ত ভূমিকম্পই হল: রাহুল গাধীকে লোকসভায় বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী

জনশক্তিকে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৩:১৪
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।-ফাইল চিত্র।

রাহুল গাঁধীকে পাল্টা দিতে ‘ভূমিকম্প’কেই বেছে নিলেন নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

সোমবার রাতে দিল্লি-উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেঁপে উঠেছে ভূমিকম্পে। বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গই টেনে এনে নাম না করে কংগ্রেস সহ-সভাপতিকে কটাক্ষ করেন মোদী। নোটবাতিল কাণ্ডের পর রাহুল বলেছিলেন, ‘‘আমাকে বলার অনুমতি দিলে ভূমিকম্প হবে।’’ আর এ দিন মোদী ভরা সংসদে বললেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত ভূমিকম্প তা হলে হলই!’’ এখানেই শেষ নয়, ওই ভূমিকম্পের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়েও রাহুলকে বিঁধেছেন মোদী। বলেছেন, ‘‘স্ক্যাম-এর মতো শব্দের সঙ্গে সেবা বা নম্রতার মতো শব্দ জুড়লে ধরিত্রী মায়ের তো দুঃখ হয়। তাই ভূমিকম্প হয়।’’

চলতি সপ্তাহেই উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। তার আগে গত রবিবার নির্বাচনী প্রচারে মেরঠ গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে তিনি বিরোধীদের কটাক্ষ করে জানিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-র লড়াই ‘স্ক্যাম’-এর বিরুদ্ধে। কী সেই স্ক্যাম? মোদীর ব্যাখ্যায় সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস, অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী— এই চারের আদ্যাক্ষর নিয়েই ‘স্ক্যাম’। এর পাল্টা দিতে রাহুল এক জনসভায় বলেন, ‘‘মোদী ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আসলে ওই শব্দগুলি হল সেবা, কারেজ (সাহস), এবিলিটি (ক্ষমতা) এবং মডেস্টি (নম্রতা)।’’ এই মন্তব্যকেই এ দিন পাল্টা কটাক্ষ করেছেন মোদী।

Advertisement

আরও পড়ুন: মোদীর জোর নোট বাতিলে, প্যাঁচে দল

লোকসভায় কী বললেন মোদী—

শস্যবিমা আগেই ছিল, কিন্তু তার সুবিধা কেন চাষিরা পেতেন না?

প্রায় ২২ লাখ বাড়ি তৈরি করা হয়েছে গত এক বছরে।

গরিবের কাছে পৌঁছনোর বদলে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা মধ্যস্ততাকারীদের পকেটে গিয়েছে। এখন আর তারা সেই সুবিধা পাবে না। আমরা দুর্নীতি এবং লুঠ বন্ধ করতে পেরেছি।

একশো দিনের কাজের মতো এত জনপ্রিয় একটি প্রকল্পের আইন অন্তত হাজার বার পাল্টানো হয়েছে। দেশ এর জবাব জানতে চায়।

আমার কথা শোনার সাহস থাকা চাই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে এই সরকারের।

আপনারা মোদীর বিরোধিতা করুন। করা উচিত। এটাই আপনাদের কাজ। কিন্তু, ভাল জিনিসকে আগে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে হবে।

কংগ্রেস নেতারা বলেন, রাজীব গাঁধীর আমলে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব এবং ডিজিটাল আন্দোলনের সূত্রপাত। আর আমি যখন মানুষকে বলছি, মোবাইল ব্যবহার করে ডিজিটাল পেমেন্ট করুন, তখন আপনারা সহমত হচ্ছেন না।

দুর্নীতি রুখতে তো কড়া পদক্ষেপ করতে হতই।

স্বচ্ছ ভারতের মতোই নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত ভারতকে স্বচ্ছ করার দিকে একটি পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: সহারাকে চাপে ফেলতে আরও কড়া সুপ্রিম কোর্ট

শরীরে কখন অস্ত্রোপচার করা সম্ভব? যখন স্বাস্থ্য ওই ধকল নিতে পারে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতিও এই সময়ে ভাল সেই কারণেই নোটবাতিলের মতো সিদ্ধান্ত ঠিক সময়েই নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনের প্রিজমে আমরা সবটা দেখতে পাই না। দেশের স্বার্থ দেখাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পায়।

নোটবাতিন নিয়ে আমি সব সময়েই আলোচনা করতে চেয়েছি। কিন্তু, বিতর্কের চেয়ে আপনাদের বেশি আগ্রহ টিভিতে মুখ দেখানোয়।

দেশের প্রতি প্রত্যেক সরকারেরই অবদান রয়েছে।

ভারতের স্বাধীনতায় কোনও পরিবারের একক অবদান নেই।

১৯৮৮তে কংগ্রেস সরকার বেআইনি সম্পত্তি আইন তৈরি করেছিল। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি কেন?

এই সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছে। যত অত্যাচার সহ্য করতে হয় করব।

২০১৪-র নির্বাচনী প্রচারে কোনও কোনও দল বলেছিল ৯ থেকে ১২টি গ্যাস সিলিন্ডার দেবে। আমরা ক্ষমতায় এসে সেই জায়গায় মানুষকে ভর্তুকি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছি।

আমি আশ্চর্য হয়েছিলাম, স্বচ্ছতা প্রসঙ্গটিকে কী ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন একদল মানুষ।

জনশক্তির মাহাত্ম্য আমাদের বোঝা প্রয়োজন। এটা দেশের পাশাপাশি এবং বঞ্চিত সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সাহায্য করবে।

আমার মতো অনেকেই আছেন, যাঁরা দেশের জন্য স্বাধীনতা-যুদ্ধে প্রাণ দেননি কিন্তু আমরা ভারতর জন্য বাঁচি এবং দেশের কাজও করি।

কংগ্রেস জন্ম নেওয়ার আগেই স্বাধীনতার লড়াই এই দেশ লড়ছে। পদ্ম সেই সময়েও ছিল, এখনও আছে।

আমাদের মনে আছে, ১৯৭৫ থেকে ৭৭ এই সময়টায় কী ভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাদের জেলে পোরা হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে

আরও পড়ুন: মামলা-জটে অনিশ্চিত শশীর শপথ

‘জনশক্তি’কে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

‘স্ক্যাম’ শব্দের মধ্যে কেউ সেবা বা ওই সংক্রান্ত কোনও ইতিবাচক ধারণা কী ভাবে খুঁজে পায়!

ভূমিকম্প হয়েছে, কোনও না কোনও কারণ তো আছেই।

কাল ভূমিকম্প হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার যোগাযোগ রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।

আখির ভূকম্প আয়া কিউ, যব কোই স্ক্যাম মে ভি সেবা, নম্রতা কা ভাব দেখতা হ্যায় তো ধরতি মা ভি দুখি হো যাতি হ্যায় অওর ভূকম্প আতা হ্যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement