প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
স্বাধীনতার ৭৫ বছরের উৎসবকে দীর্ঘমেয়াদী অনুষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার পোশাকি নাম ছিল ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। আজ তার উপসংহারেও প্রত্যাশিত ভাবে নিজের সরকারের কৃতিত্বের ভাষ্য তৈরি করলেন প্রধানমন্ত্রী। জানালেন, গোটা উৎসব কার্যত পরিণত হয়েছে এক গণআন্দোলনে।
১ হাজার দিনের অমৃতকালে দেশের কৃতিত্বগুলি আজ নিজের সরকারের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ফের দেখিয়েছেন ২০৪৭ সালে অর্থাৎ স্বাধীনতার ১০০ বছরে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার স্বপ্ন। এই মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে চন্দ্রযান অভিযান, এশিয়ান গেমস-এ একশোর বেশি পদক জয়, নতুন সংসদ ভবন, মহিলা আসন সংরক্ষণ আইন, রাজপথকে কর্তব্যপথে পরিণত করে দাসত্বের স্মৃতির অবসান, কর্তব্যপথে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি স্থাপনের মতো বিষয়গুলিতে নিজের সরকারের সিলমোহর
পোক্ত ভাবে বসাতে কোনও ত্রুটি রাখেননি প্রধানমন্ত্রী।
সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মদিবসে আজ গুজরাতে তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদী বলেন, “পটেলের আদর্শকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। দেশকে সঠিক দিশা দেখাতে সক্ষম কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যে কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে তারা কোনও দ্বিধাবোধ করে না। আগামী ২৫ বছর দেশের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অমৃতকালের এই সময়ে ভারতবর্ষ গোটা বিশ্বের কাছে এক নিদর্শন হিসেবে থাকবে।” সর্দার পটেলের নীতিকে সামনে রেখে দেশের উন্নতিতে যা কিছু করার বিজেপি তা করবে বলে আজ ফের জানিয়েছেন মোদী। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের কথা টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা সময় ছিল যখন কেউ এই ধরনের চিন্তা করতেই পারত না। কিন্তু কেন্দ্রের বর্তমান সরকার তা করে দেখিয়েছে।”
বিরোধীদের বিরুদ্ধে উন্নয়নে বাধাদানের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীদের উচিত সরকারের কাজে সমর্থন করা। কিন্তু তারা তা না করে কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক কাজের সমালোচনা করতে ব্যস্ত। ফলে প্রতিটি পদে দেশের উন্নতি ব্যাহত হচ্ছে।”