প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পরেই নরেন্দ্র মোদীর মস্কো সফর নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সংশ্লিষ্ট ভূ-রাজনীতি। এর পরে আট ঘণ্টার সফরে ইউক্রেন গিয়ে কূটনৈতিক ভারসাম্য সামলেছেন তিনি। সেই ভারসাম্যকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চলতি মাসের শেষের দিকে আমেরিকার পথে মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা যাত্রার উপলক্ষ, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দেওয়া। পাশাপাশি, আমেরিকা-সহ বিশ্বের অন্য বড় দেশের নেতাদের সঙ্গে দেখা হবে তাঁর। প্রবাসী ভারতীয়দের বিরাট সম্মেলনের আয়োজন হচ্ছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার জন এখনই নিউ ইয়র্কের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে খবর। ২২ তারিখ ‘মোদী অ্যান্ড ইউএস প্রোগ্রেস টুগেদার’— এই বিষয়ক সম্মেলন হবে নিউ ইয়র্কে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোন কথা বলেছেন মোদী। আলোচনা হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়টি নিয়ে। জানিয়েছেন তাঁর সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফরের কথা। আলোচনার শেষে বাইডেনের তরফে ইউক্রেনের প্রতি মানবিক সাহায্য চালিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতের প্রশংসা করা হয়েছে।
এ বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা চলবে ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২৬ সেপ্টেম্বর বলবেন মোদী। কোভিড পরবর্তী আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধার, সার, খাদ্য ও জ্বালানির নিরাপত্তা, দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলির দুর্দশা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রথম বিশ্বের সহযোগিতার দিক উঠতে পারে তাঁর বক্তৃতায়। সেই সঙ্গে চলতি আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংঘাতের দিকগুলি নিয়েও মোদী কী বলেন, তার দিকে নজর রাখবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ওই সময়ে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডের পার্শ্ববৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।