প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শনিবার স্বাগত জানাতে প্রস্তুত অযোধ্যা। সেখানে নবনির্মিত বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনের (যা আদতে জংশন) উদ্বোধন করবেন তিনি। বিমান বন্দর উদ্বোধনের পর সেখান থেকে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রোড শো করে রেল স্টেশন ‘অযোধ্যা ধাম’ পর্যন্ত যাওয়ার কথা মোদীর। সে কারণে শুক্রবার থেকেই অযোধ্যায় কড়া নিরাপত্তা। বাইরে থেকে মন্দির নগরীতে যানবাহন প্রবেশের উপরেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে সাজানো হয়েছে গোটা শহর।
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রামমন্দিরের। সেদিনই রামের বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। তার আগে শনিবার মন্দির নগরীতে প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দর, স্টেশন উদ্বোধনের পাশাপাশি রোড শো, জনসভা করার কথা তাঁর। সেই নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রোড শোয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ছোড়া হবে ফুল। বাজবে শঙ্খ। শিল্পীরা ভক্তিগীতি, নাচ পরিবেশন করবেন। ‘অযোধ্যা ধাম’ উদ্বোধনের পাশাপাশি ছ’টি বন্দে ভারত এবং দু’টি অমৃত ভারত ট্রেনেরও সূচনা করবেন তিনি।
মোদীর অযোধ্যা সফর প্রসঙ্গে সেখানকার জেলাশাসক গৌরব দয়াল জানান, বিমানবন্দর উদ্বোধনের পর নবনির্মিত রেলস্টেশন পর্যন্ত যাবেন মোদী। সেটাকেই রোড শো হিসাবে তুলে ধরা হবে। সব শেষে জনসভা করবেন তিনি। বুধবারই অযোধ্যা স্টেশনের নাম বদলের কথা জানান স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লাল্লু সিংহ। নবনির্মিত অযোধ্যা স্টেশনের ছবি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে লাল্লু লেখেন, ‘‘অযোধ্যা জংশন হল ‘অযোধ্যা ধাম’ জংশন। ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির নির্দেশে জনগণের ভাবাবেগ ও প্রত্যাশায় সাড়া দিয়ে নবনির্মিত গ্র্যান্ড অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশনের অযোধ্যা জংশনের নাম পরিবর্তন করে ‘অযোধ্যা ধাম’ জংশন করা হয়েছে।’’
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে ইতিমধ্যেই অযোধ্যা শহরে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। সাজানো হয়েছে রাস্তা। ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের মাঝে যে ডিভাইডার রয়েছে, সেখানে বসানো গাছগুলিকে গাঁদার মালা দিয়ে সাজানো হয়েছে। ধর্মপথ থেকে রামপথে যাবে মোদীর কনভয়। সেই রাস্তার দুই পাশে হোর্ডিং টাঙানো রয়েছে, যেখানে মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগীর কৃতিত্ব তুলে ধরা হয়েছে। রাস্তার মাঝে লতা মঙ্গেশকর চকে বাজবে গায়িকার গলায় রামের বন্দনা।
অযোধ্যা জেলা প্রশাসন মনে করছে, মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর অন্তত ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মানুষ সড়কপথ, ট্রেনপথ এবং বিমানপথে প্রতি দিন অযোধ্যায় আসবেন। সেই উপলক্ষেই আগেভাগে উদ্বোধন করা হচ্ছে নতুন স্টেশন এবং বিমানবন্দরের।