Waqf Law Debate

মুসলিমদের অধিকার সুরক্ষিত হবে, ওয়াকফ সংশোধনীকে ‘চমৎকার’ আইন বললেন মোদী, নিশানা করলেন কংগ্রেসকে

ওয়াকফ আইনকে অস্ত্র করে বিরোধীদের একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘তোষণের রাজনীতি নতুন নয়। স্বাধীনতার সময়ই এই তোষণের বীজ বপন করা হয়েছিল।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ১০:১৭
Share:
PM Narendra Modi hails new Waqf Law, stresses rights of poor muslims

নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

ওয়াকফ (সংশোধিত) আইন নিয়ে আবার বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে এই আইনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ! তাঁর দাবি, এই আইন কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে জবাব। মঙ্গলবার এক সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন মাধ্যমের অনুষ্ঠানে এসে ওয়াকফ বিল নিয়ে নিজের মতামত জানান মোদী। তিনি মনে করেন, ওয়াকফ আইনে গরিব মুসলমান, নারী এবং শিশুর অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।

Advertisement

ওয়াকফ আইনকে অস্ত্র করে বিরোধীদের একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘তোষণের রাজনীতি নতুন নয়। স্বাধীনতার সময়ই এই তোষণের বীজ বপন করা হয়েছিল। দ্বি-জাতি তত্ত্ব সাধারণ মুসলিমদের সিদ্ধান্ত ছিল না। তোষণের রাজনীতির মাধ্যমেই কংগ্রেস ক্ষমতা পেয়েছে। কিছু মৌলবাদী নেতা সম্পদ পেয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, সাধারণ মুসলিমরা কী পেয়েছেন? গরিব মুসলিমরা কী পেলেন?’’

মোদীর দাবি, ‘‘গরিব মুসলিমরা নিরক্ষরতা পেয়েছেন, বেকারত্ব বেড়েছে। অন্য দিকে, মুসলিম মহিলারা শাহবানুর মতো অবিচারের শিকার হয়েছেন। সমগ্র সমাজের স্বার্থে, মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থে এই চমৎকার আইন (ওয়াকফ আইন) প্রণয়নের জন্য আমি দেশের সংসদকে অভিনন্দন জানাই। এখন ওয়াকফের পবিত্র চেতনা সুরক্ষিত হবে। মুসলিমদের অধিকারও সুরক্ষিত হবে এই আইনের ফলে।’’

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হয় ওয়াকফ (সংশোধিত) বিল। পক্ষে ভোট পড়েছিল ২৮৮টি। বিপক্ষে পড়েছিল ২৩২টি ভোট। প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে বিতর্ক চলার পরে গত শুক্রবার রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায় ওয়াকফ (সংশোধিত) বিল। সেখানে পক্ষে ভোট পড়েছিল ১২৮। বিপক্ষে ৯৫টি ভোট পড়েছিল। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই বিলে সই করে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ফলে তা পরিণত হয় আইনে। যদিও বিরোধীরা এই আইনকে ‘মুসলিম-বিরোধী’ বলে অভিযোগ তুলেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, সংখ্যালঘুদের স্বার্থেই ‘ঐতিহাসিক সংস্কার’ হয়েছে। সংসদের দুই কক্ষে মুসলমান ওয়াকফ (প্রত্যাহার) বিলও পাশ হয়ে যায়। তার ফলে ১৯২৩ সালের মুসলমান ওয়াকফ আইন প্রত্যাহৃত হয়েছে। অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। দেশের দিকে দিকে এই আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন অনেকে। তবে সেই আবহের মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে ওয়াকফ (সংশোধিত) আইন কার্যকরও করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement