ছবি: পিটিআই।
অলিম্পিক্সে পি ভি সিন্ধুর ব্রোঞ্জ জয়কে মোদী সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের সাফল্য বলে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অলিম্পিক্সে ক্রীড়াবিদদের সাফল্যকে দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে পদার্পণের সঙ্গে জুড়ে দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, অগস্ট মাসের সঙ্গে ‘অমৃত মহোৎসব’-ও শুরু হচ্ছে। একইসঙ্গে দেশের জন্য একাধিক আনন্দদায়ক ঘটনা দেখা যাচ্ছে। রেকর্ড পরিমাণ টিকাকরণ হচ্ছে, জিএসটি থেকে যথেষ্ট আয় হচ্ছে। আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ারও ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। শুধু সিন্ধু যে মেডেল জিতেছেন তা নয়, মহিলা ও পুরুষ হকি দলেরও অলিম্পিক্সে ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা দেখা গেল।
২০২২-এ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি। এ বছর থেকেই তার উদযাপনে কেন্দ্রীয় সরকার ‘অমৃত মহোৎসব’ শুরু করছে। এই অমৃত মহোৎসবের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী টিকাকরণ থেকে জিএসটি আয়, আর্থিক কর্মকাণ্ড থেকে ক্রীড়াবিদদের সাফল্য জুড়ে দিয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আসলে অলিম্পিক্সে সাফল্যের আলো নিজের দিকেও টেনে আনতে চাইছেন। সেই কারণেই ক্রীড়ামন্ত্রী সিন্ধুর মেডেল জয়কে কেন্দ্রের প্রকল্পের সাফল্য বলে দাবি করছেন। অনুরাগ বলেছিলেন, ‘‘যে কোনও ক্ষেত্রে মহিলারা সুযোগ পেলেই সাফল্য দেখিয়েছেন। পি ভি সিন্ধুর অলিম্পিক্সে সাফল্য প্রমাণ করে, বেটি বঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্পের ফল মিলছে।’’ যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস বি ভি-র প্রশ্ন, ‘‘সিন্ধু ব্যাডমিন্টন খেলতে শুরু করেছিলেন ২০০৯-এ। বেটি বঁচাও, বেটি পড়াও শুরু হয়েছে ২০১৫-তে। সিন্ধুর সাফল্যের সঙ্গে কী ভাবে এর সম্পর্ক তৈরি হল?’