রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
আচমকা লাদাখ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লে-র নিমুতে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার দু’দিন পরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে গোটা পরিস্থিতি জানিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে এই কথোপকথনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়েই দু’জনের কথা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের টুইটার হ্যান্ডলে খবর জানানো হয়েছে।
গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং লেকে চিনা আগ্রাসনের জেরে ভারত-চিন সংঘাতের মধ্যেই শুক্রবার লাদাখ সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লে-র নিমুর কাছে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন। ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষে আহতদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। সেখানে সেনার মনোবল বাড়াতে ভাষণও দেন প্রধানমন্ত্রী। তার দু’দিনের মাথায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই আলাপচারিতা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে অবশ্য নির্দিষ্ট কোনও বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘‘রাষ্ট্রপতি ভবনে এসে সাম্প্রতিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলি রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’’ ওই টুইটের সঙ্গে রাইসিনা হিলসে দু’জনের কথোপকথনের একটি ছবিও পোস্ট করা হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাতের পাশাপাশি যে ভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে, সেই বিষয়টিও আলাপচারিতায় বাদ পড়েনি। করোনার মোকাবিলায় লকডাউন এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন চলছে, সে বিষয়েও রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন বলেই মত ওই পর্যবেক্ষকদের। আবার সম্প্রতি গরিবদের বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়ার প্রকল্প নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনাভাইরাসের সামগ্রিক পরিস্থিতির মধ্যে সেই বিষয়টিও উঠে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘ভারতকে ভালবাসে আমেরিকা’, মোদীর শুভেচ্ছাবার্তার জবাব ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: ‘চিনকে তোষণ করার নীতি থেকে সরে আসুক ভারত’
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিনের পাশাপাশি ভারতের অংশ ঢুকিয়ে নেপালের নয়া মানচিত্রের বিল সংসদে পাশ করানো, পাকিস্তানে সংসদে হামলা এবং ইসলামাবাদের ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে চিনের ‘ভারত-বিরোধী’ প্রস্তাবে আমেরিকা ও জার্মানির বাধা দেওয়ার মতো বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।