প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীর মঞ্চ থেকে এক দিকে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্য দিকে, রামমন্দির উদ্বোধনের পর দিনই সুভাষচন্দ্রের জন্মদিনকে সংযুক্ত করে জানালেন, ২২ থেকে ৩০ জানুয়ারি ভারতের ‘সাংস্কৃতিক চেতনা’ এবং ‘রাষ্ট্রভক্তির’ জন্য অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক।
মোদীর কথায়, গত দশ বছরে তাঁর সরকার নেতাজিকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার জন্য সব রকম পদক্ষেপ করেছে। আন্দামানের দ্বীপের নামকরণ থেকে লাল কেল্লায় আজাদ হিন্দ ফৌজের জন্য মিউজ়িয়াম, নেতাজির নামে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘এটা খুবই দুঃখজনক স্বাধীনতার পর নেতাজির আদর্শ মানেনি তৎকালীন সরকার। পরিবারবাদ, ভাই-ভাতিজাবাদ এনে গণতন্ত্রের সর্বনাশ করেছে। দেশের আর্থিক সামাজিক সুফল থেকে প্রান্তিক মানুষরা বঞ্চিত ছিলেন। হাতে গোনা কিছু পরিবারের হাতেই সব ক্ষমতা বন্দি ছিল।’’
এর পরই নিজের ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশের’ স্লোগান তুলে ধরে মোদীর দাবি, আজ দরিদ্র, যুবা এবং নারী শক্তির আস্থা তৈরি হয়েছে যে তাদের ছোট ছোট প্রয়োজনের প্রতি সংবেদনশীল তাঁর সরকার। আসন্ন লোকসভা ভোটের কথা ভেবে তাঁর আহ্বান, ‘‘এই পরিবারবাদের রাজনীতি থেকে, দুর্নীতির রাজনীতি থেকে মানুষকে বেরোতেই হবে।’’
রামমন্দিরের প্রসঙ্গও বারবার উঠে এসেছে মোদীর সুভাষ-বন্দনায়। বলেছেন, ‘‘রামভক্তি থেকে রাষ্ট্রভক্তির দিকে যাওয়ার পথে দেশকে শক্তিশালী করার সময় এসে গিয়েছে। সংকল্প থেকে সিদ্ধির এই সময় অভূতপূর্ব। গত কালই গোটা দেশ ও বিশ্ব ভারতের সাংস্কৃতিক চেতনার সাক্ষী হয়েছে। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার ভাবনা বিশ্বমানবতাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আর আজ নেতাজির জন্মদিন পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করছি। এরপর প্রজাতন্ত্র দিবস, ৩০ জানুয়ারি বাপুজির প্রয়াণ দিবস।"
সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আজ ‘আদি শৌর্য-পর্ব পরাক্রম কা’ নামে আদিবাসী নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। লালকেল্লায় চলে নেতাজির ছবির প্রদর্শনী, তাঁকে নিয়ে নাটক।
অন্য দিকে, গত পরশু রাজ্যসভায় তৃণমূলের সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের সরকারি বাংলোর মূল প্রবেশ দ্বারে নেতাজির চারটি ছবি সম্বলিত এলইডি বোর্ড লাগানো হয়েছে। আজ নেতাজির জন্মদিবস উপলক্ষে বস্তিবাসী শিশুদের নিয়ে এ বারেও ছোট অনুষ্ঠান করেছেন তাঁর অফিসকর্মীরা।