(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধী দলিত টেম্পো চালকের বাড়িতে গিয়ে রান্নায় হাত লাগালেন। ছত্রপতি শিবাজির মূর্তি উন্মোচন করলেন। নরেন্দ্র মোদী মুম্বইয়ের মেট্রোয় চড়লেন। বানজারাদের জন্য জাদুঘর উদ্বোধন করলেন। জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানার ভোটপর্ব মিটতে না মিটতেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমে পড়লেন নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধী।
শনিবার হরিয়ানায় যখন ভোটগ্রহণ চলছে, সে সময় মোদী ও রাহুল দু’জনেই মহারাষ্ট্রে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে যে বিজেপি এবং কংগ্রেস জাতপাতের অঙ্ক মেনে ভোটে লড়তে চাইছে, তার প্রমাণ দিয়ে আজ রাহুল কোলাপুরে দলিত টেম্পো চালক আনন্দ সান্ধের বাড়িতে গিয়েছেন। সেখানে নিজেই আনাজ কেটে রান্না করেছেন। আনন্দের স্ত্রী অঞ্জনার তৈরি জোয়ারের রুটি খেয়েছেন। জনসভায় দাবি তুলেছেন, কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেবে।
মোদী মহারাষ্ট্রে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পে শিলান্যাস ও উদ্বোধন করে অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেস তথা গান্ধী পরিবার বরাবরই দলিত, আদিবাসী, ওবিসি-দের মূল স্রোতের বাইরে রেখেছে। মহারাষ্ট্রে এলগার পরিষদের ঘটনায় মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, শিক্ষাবিদদের গ্রেফতারির পরে তাঁরা ‘শহুরে নকশাল’ বলে অভিযোগ উঠেছিল। আজ মোদী সেই মহারাষ্ট্রে গিয়েই অভিযোগ তুলেছেন, ‘শহুরে নকশাল’-রাই
কংগ্রেস চালাচ্ছে।
সাধারণত হরিয়ানার সঙ্গেই মহারাষ্ট্রের ভোট হয়। কিন্তু এ বার নির্বাচন কমিশন হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন একসঙ্গে ঘোষণা করলেও মহারাষ্ট্রের নির্বাচন ঘোষণা করেনি। রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, দশেরার পরে, নভেম্বরেই মহারাষ্ট্রের ভোট ঘোষণা হবে। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, শরদ পওয়ারের এনসপি এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার আসন রফা মোটামুটি পাকা। উল্টো দিকে, বিজেপি, একনাথ শিন্দের শিবসেনা, অজিত পওয়ারের এনসিপি-র ক্ষমতাসীন জোট।
মহারাষ্ট্রে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বই। বিজেপি তাই মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। ‘ইন্ডিয়া’ -র বিশ্বাস, মহারাষ্ট্রের ভোটে বিজেপি হেরে গেলে কেন্দ্রে মোদী সরকারের সিংহাসনও নড়ে উঠতে পারে। হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের ফলপ্রকাশের আগেই তাই মোদী ও রাহুল মহারাষ্ট্রের ময়দানে নেমে পড়ছেন।