আলোচনা: চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংঘে-র সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই
ডোকলাম তিক্ততার পর্ব পেরিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি। পিছিয়ে নেই চিনও। তারই অঙ্গ হিসেবে চার দিনের সফরে আজ ভারতে পৌঁছেছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর জেনারেল ওয়েই ফেংঘে। ডোকলাম কাণ্ডের পরে তাঁর এই প্রথম ভারত সফর। প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে সেই বৈঠকে সরাসরি ডোকলাম প্রসঙ্গ ওঠেনি বলেই সূত্রের খবর। বৈঠকের পরে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আজ ভারত-চিন সম্পর্ককে বিশ্বের সুস্থিতির অন্যতম উপাদান হিসেবে তুলে ধরে জানিয়েছেন, সীমান্তে মতবিরোধকে পরিণত ভাবেই মোকাবিলা করবে দু’দেশ। কোনও ভাবেই একে সংঘাতের পর্যায়ে নিতে দেবে না। পাশাপাশি মোদীর দাবি, সীমান্তে শান্তি বহাল রয়েছে।
ডোকলাম কাণ্ডের পর থেকেই চিন-প্রশ্নে সুর পাল্টে নরম অবস্থান নিয়েছে মোদী সরকার। কিছু অপ্রিয় কথা থাকায় সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির চিন সংক্রান্ত রিপোর্টকেও সামনে আনতে দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, মূল যে কারণটি নিয়ে সংঘাত, তা কিন্তু তিমিরেই। অর্থাৎ শিলিগুড়ি করিডরের ঘাড়ের কাছে যে রাস্তা, বাঙ্কার এবং অন্যান্য সামরিক পরিকাঠামো বানিয়েছিল চিন, তা তারা অটুট রেখেছে। শুধু চিনা সেনাকে সরানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ করে চলেছেন রাহুল গাঁধী। তিনি টুইটারে বলেছেন, চিনের সামনে মোদী সরকার কার্যত বকলস পরে রয়েছে! কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, আজ চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী কার্যত সেই ‘ন্যুব্জ’ নীতিরই আশ্রয় নিলেন। ডোকলাম সীমান্তে চিনা পরিকাঠামো ধ্বংস করার প্রসঙ্গে সরব না হয়ে সীমান্তে ‘শান্তি এবং সুস্থিতি’ বজায় রয়েছে বলে মেনে নিলেন।