রাজ্যের নাম মুখেই নিলেন না প্রধানমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির কাজ পর্যালোচনা করতে বুধবার ‘প্রগতি’ বৈঠকে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ার জেলাশাসকের অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই বৈঠকে অংশ নেন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২৫
Share:

নরেন্দ্র মোদী

কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির কাজ পর্যালোচনা করতে বুধবার ‘প্রগতি’ বৈঠকে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ার জেলাশাসকের অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই বৈঠকে অংশ নেন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের নাম এক বারের জন্যেও মুখে আনলেন না প্রধানমন্ত্রী! ফলে কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে কিছু বলার থাকলেও কার্যত সেই সুযোগই পাননি মুখ্যসচিব।

Advertisement

কেন এমন হল? রাজ্য প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, বুধবার দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী যখন ভিডিও কনফারেন্স করছেন, তখন তাঁর দলের প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুরে বাড়ি় বাড়ি ঘুরে অনুন্নয়নের অভিযোগ শুনছেন। উন্নয়নের প্রশ্নে তাঁর দল যে দিন চার্জশিট দিচ্ছে, সে দিন আর বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি প্রধানমন্ত্রী।

নবান্নের অন্য অংশের ব্যাখ্যা আবার ভিন্ন। তাঁদের বক্তব্য, বুধবারের বৈঠকে মূলত কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র-সহ কয়েকটি রাজ্য নিয়ে আলোচনা ছিল। এ ছাড়া, কয়েকটি বিষয় নিয়ে সামগ্রিক ভাবে কিছু কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এর মধ্যে অন্য কিছু খুঁজতে যাওয়ার মানে হয় না। নবান্নের এক কর্তা অবশ্য বলছেন, ‘‘আগের কোনও বৈঠকে এমন হয়নি। রাজ্যগুলি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু না কিছু বলতেনই। এমনকী কোনও রাজ্যের মুখ্যসচিবের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্রসচিব উপস্থিত থাকলে সেটাও তাঁর নজর এড়াত না। এই আবহে এ বারে তাঁর নীরবতা অর্থবহ।’’

Advertisement

আরও পড়ুন...
বিরোধী জোট, সক্রিয় সনিয়া

উন্নয়নের কাজ পর্যালোচনা করতে সরকার গঠনের পরেই ‘প্রোঅ্যাকটিভ গর্ভন্যান্স অ্যান্ড টাইমলি ইমপ্লিমেন্টেশন’ বা প্রগতি নামে বৈঠক শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। সরাসরি মুখ্যসচিবদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে রাজ্যগুলির পরিস্থিতি বোঝাই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। নোট বাতিলের আগে গত ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী এমনই এক বৈঠক করেছিলেন। সে দিন মুখ্যসচিবের পরিবর্তে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে। জমির সমস্যায় আটকে থাকা বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি নিয়ে সে দিন আলোচনা হয়। সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রসচিব। নোট বাতিলের ঘোষণার পরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রগতি বৈঠক হলেও তা বেশিক্ষণ চলেনি। তার পরেই বুধবারের বৈঠক।

বৈঠকে স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে টিকাকরণের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যগুলির কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েকটি রাজ্যের মেট্রো রেল প্রকল্প, জাতীয় সড়ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়েও কথা হয়। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই এ রাজ্যের নাম তিনি মুখে আনেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement