নয়াদিল্লি বিমানবন্দরের রানওয়েতে তখন ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল এয়ারবাসটি। গন্তব্য গোয়া। আচমকা পাইলটকে ‘টেক অফ’ বাতিলের নির্দেশ দেয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। বিপদের আশঙ্কা নিয়েই সন্তপর্ণে ১২০ জন যাত্রী-বোঝাই বিমান দাঁড় করান পাইলট। ফেরেন টার্মিনালে। ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পরে জানান, আরও বড় বিপর্যয় রুখতে বাধ্য হয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি রানওয়েতে থামাতে বাধ্য হয়েছেন। না হলে মাঝআকাশে দিল্লিতে আসা অন্য একটি বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লাগতে পারত সেটির।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ২৮ নম্বর রানওয়ে দিয়ে এগোচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। ২৭ নম্বরে নামার কথা ছিল ইন্ডিগো সংস্থার একটি বিমানের। শেষ মুহূর্তে জরুরি কোনও কারণে অবতরণ বাতিল করে রাঁচী থেকে দিল্লিগামী বিমানটি। আকাশে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের মুখোমুখি হতে পারত সেটি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই পদক্ষেপ করেন এয়ার ট্রাফিক অফিসাররা। বিপদ এড়ানোর জন্য অনেকে বাহবা দিচ্ছেন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের পাইলট অমিত ত্যাগীকে। তাঁদের বক্তব্য, রানওয়ের প্রায় শেষ মাথায় থাকা দুরন্ত গতির বিমান থামানোর জেরে সেটির টায়ার ফেটে যেতে পারত। বিপদ হতো তখনও।