প্রতীকী ছবি।
হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের নামে ঘৃণাভাষণের ঘটনায় এবং রাজধানী দিল্লিতে সভা ডেকে ঘৃণাভাষণের ঘটনায় অবশেষে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। কংগ্রেস নেতা তথা প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বলের করা জনস্বার্থ মামলাটি গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার বেঞ্চ। সিব্বল বলেন, ‘‘১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে যা ঘটেছিল, তার বিরুদ্ধেই আমি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছি।’’ এ দিনই সুপ্রিম কোর্টে পৃথক একটি আবেদনে জামিয়া-ই-উলামায়ে-হিন্দ নামে মুসলিমদের একটি সংগঠন হরিদ্বার ও দিল্লির ধাঁচে হওয়া ধর্ম সংসদ এবং মুসলিম-বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রাখার উপরে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর দীপক ত্যাগী ওরফে যতি নরসিংহানন্দ নামে এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নেতৃত্বে একটি ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়। সেখানে সরাসরি মুসলিম গণহত্যার ডাক দেওয়া হয়। ঘটনার ভিডিয়ো দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের কাছে আবেদন জানানো এফআইআর দায়ের করা ছাড়া কিছুই করেনি তারা। উল্টে ঘৃণাভাষণের পাণ্ডারা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেন, তাঁরা নিজেদের বক্তব্য থেকে পিছু হটবেন না। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনা হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা কেন্দ্রের শীর্ষ কর্তারা নীরবই থেকেছেন। তবে দেশের তিন বাহিনীর পাঁচ প্রাক্তন কর্তা এবং আইনজীবী ও বিশিষ্ট জনেরা এ নিয়ে সরব হন। কিছু দিন আগে সুপ্রিম কোর্টের ৭৬ জন আইনজীবী দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে মামলা করার আর্জিও জানান। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে সিব্বল জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।