Lunar Mission

চাঁদের বুকে প্রদর্শনী! যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কার ছবি

প্রিয়াঙ্কা মনে করেন, তাঁরও দ্বৈত স্বত্ত্বা রয়েছে। বিজ্ঞানী ও চিত্রশিল্পী। দুই কাজেই তাঁর মন সমান আনন্দ পায়।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৩৮
Share:

হাওয়াইয়ের মাউনা লোয়াতে তৈরি ইউরো মুন মার্স ভিলেজে প্রিয়াঙ্কা দাস রাজকাকতি।

সময় পেলেই অরিগামি আর কাগজ পেলেই ছবি এঁকে ফেলাটা তাঁর নেশা। ভারতের প্রিয়াঙ্কা দাস রাজকাকতির আঁকা তেমনই একটি মহাকাশচিত্র এ বার চাঁদে পাড়ি দিতে চলেছে।

Advertisement

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির লুনার ল্যান্ডার মিশনের মাধ্যমে চাঁদের বুকে আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী হতে চলেছে। উদ্যোক্তা ‘ইন্টারন্যাশনাল লুনার এক্সপ্লোরেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ’ নামে একটি আন্তর্জাতিক নাগরিক মঞ্চ। তাদের ‘মুন গ্যালারি প্রজেক্ট’-এ স্থান পাচ্ছে মহাকাশ বিজ্ঞান, দ্বৈতবাদ ও বৈদিক প্রভাবকে মিলিয়ে নিয়ে প্রয়াঙ্কার আঁকা ‘বেদাদীপিকা-অ্যান ইলাস্ট্রেশন অব ডুয়ালিটি’।

প্রিয়াঙ্কা মনে করেন, তাঁরও দ্বৈত স্বত্ত্বা রয়েছে। বিজ্ঞানী ও চিত্রশিল্পী। দুই কাজেই তাঁর মন সমান আনন্দ পায়। ফরাসি সরকার শুধু প্রিয়াঙ্কাকে নাগরিকত্বই দেয়নি, দেশের ‘গার্লস অ্যান্ড সায়েন্স’ অভিযানে প্রিয়াঙ্কাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে দূত হিসেবে। বিজ্ঞানের জটিল ও গম্ভীর কাজের মধ্যেও সর্বদা প্রাণোচ্ছল এই তরুণীর মতে, আগামী দিনের মহাকাশ অভিযান ও মহাকাশ সভ্যতায় সাস্কৃতিক বিকাশও গুরুত্ব পাবে। গুরুত্ব পাবে শিল্প।

Advertisement

‘ইন্টারন্যাশনাল লুনার এক্সপ্লোরেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর কার্যনির্বাহী অধিকর্তা বার্নার্ড ফোয়িংও প্রিয়াঙ্কার মতের সমর্থনে বলেন, “প্রাচীন বৈদিক দ্বৈতবাদের ধারণার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার নিজের দ্বৈত সত্ত্বাকে মিশিয়ে যে মহাকাশ চিত্র তৈরি হয়েছে- তা ভবিষ্যতের মহাকাশ সংস্কৃতির বার্তাবাহী।” প্রিয়াঙ্কা একটি ন্যানো সিম কার্ড, ‘গ্লো ইন দ্য ডার্ক’ রঙে কার্ডবোর্ডে আঁকা চাঁদের বিভিন্ন আকার, এক কিউবিক সেন্টিমিটার বাক্স এবং পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সাহায্য নিয়েছেন।

তুষার দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা চালাতে মহিলা বিজ্ঞানীদের যে দল কুমেরু অভিযানে যেতে চলেছে- গুয়াহাটির প্রিয়াঙ্কা তার সদস্য। বাবা মনোজ কুমার দাস গুয়াহাটিতে নেডফির কার্যনির্বাহী অধিকর্তা, মা চিকিৎসক। দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য দফতরে কর্মরত। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে পাশ করে ফ্রান্সের ইকল পলিটেকনিকে পড়তে যান প্রিয়াঙ্কা। এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন তুলুজের আইএসএই-সুপায়েরো থেকে। সেখানেই বর্তমানে চলছে তাঁর গবেষণা।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির মহাকাশ বিজ্ঞানী প্রিয়াঙ্কা দশোঁ ও সাফ্রান সংস্থার হয়ে স্যাটেলাইট নেভিগেশন নিয়ে কাজ করেছেন। ফোর্বসের তালিকায় ৩০-অনূর্ধ্ব সেরা ৩০ জনের এক জন তিনি। ২৯ বছর বয়সেই অসমকন্যা প্রিয়াঙ্কার ঝুলিতে এত অভিজ্ঞতা ও সম্মান। নতুন সংযোজন চাঁদের প্রদর্শনীতে তাঁর আঁকা ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement