পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমতে পারে দেশে। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানোর পরিস্থিতিতে রয়েছে। ফলে খুব শীঘ্রই আমজনতার জন্য খুশির খবর আসতে পারে।
গত এক বছরে বিদেশ থেকে আমদানি করা অশোধিত তেলের দাম অনেকটা কমলেও এত দিন পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানো হয়নি। অথচ এক বছর আগে যে অশোধিত তেলের দর ছিল ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলার, এখন তা ৭০ ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। মে মাসে ভারতে আসা অশোধিত তেলের ৪৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে সস্তায় আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু দেশের বাজারে তেলের দাম কমেনি। এক বছর আগে মোদী সরকার পেট্রলে ৮ টাকা ও ডিজ়েলে ৬ টাকা শুল্ক কমিয়েছিল। তার পর থেকে আর শুল্কও কমানো হয়নি।
এখন কর্নাটকে বিজেপির হার থেকে শিক্ষা নিয়ে কি জ্বালানির দাম কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে? সরকারি সূত্রের দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। অশোধিত তেলের দাম হ্রাস ও রাশিয়া থেকে সস্তায় অশোধিত তেল আমদানি করা হলেও পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানো যায়নি। কারণ, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে আগে বেশি দামে অশোধিত তেল আমদানি করতে হয়েছে বলে লোকসান হয়েছিল। সেই ক্ষতি এখন পূরণ হয়েছে। তাই বিশ্ব বাজারে দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তেলের দাম কমানো সম্ভব। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, গত দুই ত্রৈমাসিকে চাহিদা কমতে শুরু করেছে। জ্বালানির দাম কমলে চাহিদা বেড়ে অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে। উল্লেখ্য, ওপেক-সহ তেল উৎপাদক দেশগুলি তেল উৎপাদন ছাঁটাই চালাচ্ছে। সম্প্রতি সৌদি আরব তা আরও কমাবে বলেছে। তবে কেন্দ্রের মতে, তাতে অশোধিত তেল জোগানে সমস্যা হবে না, দামও বাড়বে না।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় পেট্রলের দাম ছিল লিটারে ১০৬.০৩ টাকা। ডিজেল ৯২.৭৬ টাকা। কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০১৪ থেকে ২০২৩— মোদী জমানায় অশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ১০০ ডলার থেকে ৭০ ডলারে নেমেছে। অথচ পেট্রল লিটারে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকার ঘরে ও ডিজেল ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯৫ টাকার ঘরে পৌঁছেছে।