এই দৃশ্যই ধরা পড়েছে অটল সেতুতে। ছবি: এক্স।
জেল এবং জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়েও যে কাজ হয়নি, তা টের পেল মুম্বই পুলিশ। তাদের সেই হুঁশিয়ারিকে উড়িয়ে দিয়ে আবারও অটল সেতুতে গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলার হিড়িক পড়ল। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সদ্য উদ্বোধন হওয়া অটল সেতুতে আবার সার দিয়ে দাঁড় করানো গাড়ি। আরোহীরা নেমে দেদার ছবি তুলছেন। সেই ছবি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন এক গ্রাহক। মুম্বই পুলিশকে সেই ছবি ট্যাগ করে যথাযথ পদক্ষেপের আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। মুম্বই পুলিশও জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যাঁরা সেতুতে গাড়ি দাঁড় করাচ্ছেন, ছবি তুলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশের এই বার্তা সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠছে, আগেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে বলেও জানিয়েছিল পুলিশ। সঙ্গে জরিমানার কথাও বলেছিল তারা।
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেই সতর্কবার্তাকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলা হচ্ছে অটল সেতুতে। বিষয়টি আবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সরব হয়েছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে অটল সেতুর। উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রায়গড় জেলার নভ সেবার সঙ্গে সেওয়ারির সংযোগস্থাপনে সমুদ্রের উপর প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু বানানো হয়েছে। দিল্লির সিগনেচার সেতুর মতো এই সেতু নিয়েও জনসাধারণের মধ্যে উৎসাহের অন্ত ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই সেতু যেন হয়ে উঠেছিল আমজনতার ‘পিকনিক স্পট’!
সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই এমন কাণ্ড নিয়ে সমালোচনা ঝড় ওঠে। এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা ঠেকাতে আসরে নেমেছে মুম্বই পুলিশ। হুজুগে এবং উৎসাহী মানুষের প্রতি তাঁদের বার্তা, সেতুর উপর গাড়ি থামিয়ে তাঁরা যেন ছবি না তোলেন।তাদের এক্স হ্যান্ডলে মুম্বই পুলিশ লেখে, “আমরা মানছি যে, অটল সেতু ‘দেখার মতো একটি বিষয়’। পাশাপাশি গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলাটাও অপরাধ। যদি সেতুর উপর গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলেন, তা হলে এফআইআর দায়ের করা হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।”