গর্ত রং করে প্রতিবাদ করার পরই রাস্তা সারাই করে দিল স্থানীয় প্রশাসন।
রাস্তা সারাইয়ে প্রশাসন কোনও গা করছিল না। ফলে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছিল পথচারীদের। একাধিক বার প্রশাসনকে জানিয়েও যখন কাজ হয়নি, তখন স্থানীয়রাই এর প্রতিবাদ জানানোর জন্য অভিনব পন্থা নিলেন।
রাস্তায় যত গর্ত ছিল, সেই গর্তগুলিকে রং করেন তাঁরা। রাস্তার মাঝে রংবেরঙের এমন গর্ত শহরের চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও পৌঁছয়। এমন অভিনব প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়ে গর্ত রং করার চার ঘণ্টার মধ্যেই গোটা রাস্তা সারাই করে দিয়েছে প্রশাসন।
খারাপ রাস্তায় মাছে ছেড়ে, ধান গাছ পুঁতে প্রতিবাদ করা হচ্ছে, এমন দৃশ্য মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু রাস্তার গর্তে রং করে প্রতিবাদের ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি। এ বার সেই অভিনব প্রতিবাদের রাস্তায় নামলেন মু্ম্বইয়ের আন্ধেরি ইস্টের বাসিন্দারা।
আন্ধেরি ইস্টের মারোল চার্চ রোডের অবস্থা খুবই খারাপ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)-কে এ বিষয়ে একাধিক বার জানানো হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও কোনও রকম গা করেনি তারা। ফলে রাস্তায় প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারীদের।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, গণেশ চতুর্থীর আগে সমস্ত রাস্তাঘাট সারাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। কিন্তু তার পরেও শহরের বহু জায়গায় এখনও রাস্তার হাল খারাপ। নবরাত্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। তার পরেও রাস্তা সারাইয়ের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। তাই বাধ্য হয়েই এই ধরনের প্রতিবাদের পথে নামতে হয়েছে বলে দাবি ওই বাসিন্দার।