—ফাইল চিত্র
মণিপুরকে ইনারলাইন পারমিটের আওতায় আনাই পূর্ণরাজ্য হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রের তরফে পাওয়া মণিপুরবাসীর সেরা উপহার। আজ ইম্ফলে জনসভায় এই কথাই বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাগা চুক্তির প্রস্তাবিত শর্তে মণিপুরে নাগাদের জন্য স্বায়ত্বশাসিত পরিষদ গড়ার প্রস্তাব নাকচ করে গতকালই বিবৃতি দিয়েছে রাজ্যের নাগরিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। শাহ সরকারি অনুষ্ঠানের পরে বিশিষ্ট জন ও নাগরিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে তাঁদের মতামত বিবেচনার আশ্বাস দেন।
আজ সকালে গুয়াহাটিতে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে ইম্ফলে আসেন শাহ। চূড়াচাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ, মুয়ংখংয়ে আইআইটি, সরকারি অতিথিশালা, রাজ্য পুলিশ সদর দফতর, ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড ও কন্ট্রোল রুমের শিলান্যাস-সহ সাতটি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইম্ফলে ইনারলাইনের বর্ষপূর্তিতে তিনি বলেন, “রাজ্যবাসীর স্বাতন্ত্র্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
ইনারলাইন পারমিট চালু করা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনে করেন, ভূমিপুত্রদের ন্যায্য দাবি অস্বীকার করা অন্যায়। তাই গত ডিসেম্বরে মণিপুরকে আইএলপির আওতায় আনা হয়। মণিপুর রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকে এত বড় উপহার কেন্দ্রের কাছ থেকে আগে কখনও পায়নি।”
অবশ্য মণিপুরে আইএলপি চালু করে এত গর্ব করলেও, একই দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে মেঘালয়ে। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল শাহের কাছে বারবার দরবার করছেন। কিন্তু মেঘালয়ের দাবি মানছেন না শাহ। মণিপুরে নাশকতা, অবরোধ, বন্ধের সংস্কৃতি কংগ্রেস বন্ধ করতে না পারায় তাদের তীব্র সমালোচনা করে শাহ বলেন, “কংগ্রেসের এত বছরের শাসনে না ছিল শান্তি, না গড়িয়েছে শান্তি প্রক্রিয়া। কিন্তু বিজেপি সরকারের সদিচ্ছায় একের পর এক সমস্যা মিটেছে। জঙ্গিরা শান্তির পথে পা মিলিয়েছে। বিজেপির তিন বছরের শাসনে রাজ্য বন্ধের ফাঁস থেকে মুক্তি পেয়েছে।” নাগরিক সংগঠনগুলিকে তিনি জানান, রাজ্যের বহুমুখী উন্নয়নের দাবিগুলি তিনি আন্তরিক ভাবে রূপায়ণের চেষ্টা করবেন। নাগা চুক্তির অধীনে মণিপুরে নাগাদের পৃথক স্বশাসন দিলে তা আরও বড় রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক জটিলতার জন্ম দেবে দাবি করে নাগরিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ জানায়, কোনওভাবেই রাজ্যে কোনও জনগোষ্ঠীকে স্বশাসিত পরিষদ গড়তে দেওয়া যাবে না। সেই দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেন শাহ। জানান, রাজ্যবাসীর মতের বিপক্ষে গিয়ে কিছুই চাপিয়ে দেওয়া হবে না।