বিহারে ব্যক্তির নামে ভোট হয়নি: নীতীশ

তাঁর কথায়, ‘‘এ নিয়ে কারও কোনও ধন্দ থাকা উচিত নয় যে বিহারের মানুষই এনডিএকে জিতিয়েছে। এখানে কেউ যদি ভেবে থাকেন, কোনও ব্যক্তি বিশেষের নামে ভোট হয়েছে, তবে তিনি ভ্রমে রয়েছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৯ ০২:২১
Share:

দিল্লি থেকে ফিরে বিজেপির উদ্দেশে বার্তা দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। জানালেন, বিহারে কোনও ব্যক্তির নামে ভোট হয়নি। জয় এসেছে এনডিএ-র যৌথ নেতৃত্বের কারণেই। তাঁর কথায়, ‘‘এ নিয়ে কারও কোনও ধন্দ থাকা উচিত নয় যে বিহারের মানুষই এনডিএকে জিতিয়েছে। এখানে কেউ যদি ভেবে থাকেন, কোনও ব্যক্তি বিশেষের নামে ভোট হয়েছে, তবে তিনি
ভ্রমে রয়েছেন।’’

Advertisement

রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই কটাক্ষ করেছেন নীতীশ। যদিও জেডিইউ নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দলের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় কিছুটা হলেও চিন্তায় তাঁরা। দলের জন্য দু’টি পূর্ণমন্ত্রীর পদ দাবি করেছিলেন জেডিইউ সভাপতি নীতীশ। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব সাফ জানায়, জোটের প্রতীকি হিসেবেই প্রতিটি শরিক দল থেকে এক জন করেই প্রতিনিধি মন্ত্রিসভায় রাখা হবে। আর তাতেই সমস্যায় পড়ে জেডিইউ। দলের দুই নেতার মধ্যে মন্ত্রিত্ব নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়। তার জেরে মন্ত্রিসভা থেকে দূরে থাকারই সিদ্ধান্ত নেন নীতীশ।

গতকাল সকালেও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে কয়েক দফা কথা হয় তাঁর। নীতীশের সঙ্গে দেখা করেন বিহারের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব।
কিন্তু তাতেও মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে রাজি হননি নীতীশ। তাঁর সাফ দাবি, আসন অনুযায়ী শরিকদের মধ্যে মন্ত্রিত্ব বন্টন করতে হবে। বিহার থেকে ছ’টি আসন জিতে রামবিলাস পাশোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিকে একটি পূর্ণমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে। ১৬টি আসন জিতে জেডিইউয়ের তার থেকে বেশিই পাওয়া উচিত। ২০২০ সালে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। মন্ত্রিসভায় না গিয়ে বিজেপিকে তার আগে চাপে রাখতে চাইছেন নীতীশ।

Advertisement

বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য নীতীশের সিদ্ধান্তে ধন্দে রয়েছেন। তাঁরা মনে করছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সদ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া নিত্যানন্দ রায় বলেন, ‘‘বিহারে এনডিএতে কোনও সমস্যা নেই। জেডিইউ মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে। রাজ্যের উন্নয়নে আমরা এক সঙ্গেই কাজ করব।’’ এই ঘটনার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একদা নীতীশ-ঘনিষ্ঠ, আরজেডি সহ-সভাপতি শিবানন্দ তিওয়ারি বলেন, ‘‘রাজনীতির চাল দেওয়ায় নীতীশ কুমার দক্ষ। আগামী
দিনে বিজেপি তাঁকে চাপে রাখতে পারে ভেবেই তিনি মন্ত্রিসভার বাইরে রয়ে গেলেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement