ত্রিপুরার প্রতাপগড় বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার।— নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্ব নির্বিঘ্নেই শেষ হল। ত্রিপুরার দু’টি সংরক্ষিত কেন্দ্র, প্রতাপগড় ও সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রে গড়ে ভোট পড়েছে ৮১ শতাংশ। এই শতাংশের হার আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী অফিসার এস কে রাকেশ জানান, ‘‘দু’টি কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও গণ্ডগোলের অভিযোগ আসেনি।’’
সিপিএমের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল সরকারের মৃত্যুর কারণে প্রতাপগড় কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। সিপিএম বিধায়ক সুধীর দাসের মৃত্যুতে সুরমা আসনটি খালি হয়। দু’টি কেন্দ্রেই কার্যত ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে। সিপিএম, জাতীয় কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। চার-পাঁচটি বুথে শাসক দলের ক্যাডাররা বিজেপির এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুধীন্দ্র সেনগুপ্ত। কয়েকটি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত্ সিন্হা জানান, ‘‘আপাত দৃষ্টিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে মনে হলেও গণতন্ত্রকে হত্যা করে প্রিসাইডিং অফিসাররা বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে শাসক দলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁরা আজকের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছেন।’’ বিভিন্ন গ্রামীণ প্রকল্পের প্রায় ১১ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে ভোটের আগে, এ কথা বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত্ সিনহার অভিযোগ, ‘‘সেই টাকা দাদন, উপঢৌকন হিসেবে ভোটারদের মধ্যে কী ভাবে বিলি করা হয়েছে তা আমরা দেখেছি।’’ বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মণ বলেন, ‘‘শাসক দল জনগণের আস্থা হারিয়েছে। তাই ভয় দেখিয়ে ভোট করতে হল সিপিএমকে।’’ প্রতাপগড়ের ন’টি এবং সুরমার পাঁচটি বুথে পুনর্নির্বাচন চেয়ে কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছে সুদীপবাবু। বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের মুখপাত্র গৌতম দাস জানান, ‘‘ভোট হয়েছে সম্পূর্ণ অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ।’’
এ বারই প্রথম ত্রিপুরায় প্রথম ভোটাররা ভোট যন্ত্রে প্রার্থীর ছবি দেখে ভোট দিতে পেরেছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে, ইভিএম-এ প্রার্থীর নাম এবং প্রতীকের পাশাপাশি ছবি রাখার ব্যবস্থাও ছিল।