ধাক্কা এল পতঞ্জলির কাছ থেকেও। ফাইল চিত্র।
একে তো উপনির্বাচনে ধাক্কা। তার উপর শিল্পভাবমূর্তিতেও ধাক্কা খেয়ে গেল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এবং সেই ধাক্কাটা এল বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের কাছ থেকে।
উত্তরপ্রদেশে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় ৪২৫ একর জমির উপর সুবিশাল ফুডপার্ক তৈরির জন্য প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছিল পতঞ্জলি। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগ তুলে সেই প্রকল্প বাতিলের কথা জানিয়ে দিলেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণ। তার অভিযোগ, ‘‘নথিপত্রের জটিলতায় প্রকল্প আটকে রাখা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের সরকারি আধিকারিক, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনও লাভ হয়নি। এ অবস্থায় প্রকল্প সরিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।’’
কিন্তু প্রকল্প সরিয়ে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, তা পতঞ্জলির তরফ থেকে বলা হয়নি। সস্প্রতি কৈরানা লোকসভা এবং নুরপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর দলের মধ্যেই বেশ কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। তার উপর রামদেবের মতো বিজেপি ঘনিষ্ঠরাও যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আরও মুখ পোড়ার আশঙ্কা।
আরও খবর: চিড় মেরামতে আজ বৈঠকে অমিত-উদ্ধব
আরও খবর: ফের মোদীর মুখে ঘর তৈরির স্বপ্ন
কিন্তু পরিস্থিতি এখন যেরকম, তাতে পতঞ্জলির সঙ্গে রফা হওয়ার সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ বলেই জানাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা। আদিত্যনাথ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর ফুডপার্কের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে হলে পতঞ্জলিকে বেশ কয়েকটা শর্তপূরণ করতে হবে। এ জন্য তাদের এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে।’’ উল্টোদিকে পতঞ্জলির অভিযোগ, প্রকল্পের জন্য সাহায্য চাইলেও যোগী আদিত্যনাথের সরকার পাশে দাঁড়ায়নি। আচার্য বালাকৃষ্ণ বলেছেন, ফুডপার্কের জন্য ইতিমধ্যই যন্ত্রাংশের বরাত দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটিবাস্তবায়িত হলে লক্ষ লক্ষ কৃযক উপকৃত হতেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। যদিও পতঞ্জলির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রামদেবের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।