রামবিলাস পাসোয়ান।
গত কালই নিজের লোকসভা কেন্দ্র হাজিপুরে তাঁকে কালো পতাকা দেখান উচ্চবর্ণের আন্দোলনকারীরা। আর আজই তাদের দাবির সমর্থনে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। বললেন, ‘‘গরিব উচ্চবর্ণের মানুষদের জন্য ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকা উচিত।’’
কিছু দিন ধরেই তফসিলি জাতি ও জনজাতি আইনে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় সংশোধনীর প্রতিবাদে উচ্চবর্ণের সংগঠনগুলি আন্দোলনে নেমেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় সফল বন্ধের পরে সরকারি চাকরিতে উচ্চবর্ণের জন্য সংরক্ষণের দাবিও উঠতে শুরু করেছে। সাধারণ নির্বাচনের আগে বিষয়টি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। চিন্তায় রাজনৈতিক দলগুলি। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন বিজেপি। কারণ তাদের ভোটব্যাঙ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ উচ্চবর্ণের এই ভোট। পরিস্থিতি বুঝে উচ্চবর্ণের ভোটের একদা প্রধান দাবিদার কংগ্রেসও জাত ও সংরক্ষণের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি এই সংক্রান্ত একটি টুইট নিজে রি-টুইট করার পরেই বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের উচ্চবর্ণের নেতারাও এই আন্দোলনের সমর্থনে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বিহারে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অনিল শর্মাও এই আন্দোলনের সমর্থনে সরাসরি এগিয়ে এসেছেন। দলের এক নেতা বলেন, ‘‘পি ভি নরসিংহ রাওয়ের নীতি ফের গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই নীতি নিলেই বিহারে ফের দলের ক্ষমতা দখল সম্ভব।’’ লোকজনশক্তি পার্টি তথা এনডিএ নেতা পাশোয়ানের আজকের প্রতিক্রিয়া কার্যত তারই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, মণ্ডল কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ওবিসি সংরক্ষণ চালু করেন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ। ১৯৯২ সালে নরসিংহ রাও ক্ষমতায় এসে গরিব উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে বাতিল করে দেয়। ২০০৩ সালে বাজপেয়ী সরকার বিষয়টি ফের বিবেচনার জন্য একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী (জিওএম) তৈরি করে। ২০০৬ সালে ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকার ফের একটি কমিটি তৈরি করে। কিন্তু বিষয়টি আর এগোয়নি।