প্যারডি ভিডিয়োয় শ্যাম রঙ্গিলা (বাঁ দিকে) ও বিকল্প মেহতা।
‘‘আমি যখন চা বিক্রি করতাম, তখন সবাইকে বলতাম, চায়ের সঙ্গে বিস্কুটের প্যাকেটও বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।’’
‘‘তা হলে চা বিক্রি করে লাভ করতেন কী করে?’’
‘‘শুধু প্যাকেট দিতাম। বিস্কুট দিতাম না।’’
অভিনেতা অক্ষয়কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে ‘অরাজনৈতিক’ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তার প্যারডি করে তৈরি সাক্ষাৎকারেই শোনা যাচ্ছে এই কথোপকথন। মোদীর নকল করে বিখ্যাত হওয়া কৌতুকশিল্পী শ্যাম রঙ্গিলা সেখানে মোদীর ভূমিকায়। আর অক্ষয়ের ভূমিকায় আরেক শিল্পী বিকল্প মেহতা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দিন তিনেক আগে এই ভিডিয়ো আপলোড করেন শ্যাম। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই প্যারডি সাক্ষাৎকার। শ্যামের অফিসিয়াল চ্যানেলেই এখনই এই সাক্ষাৎকারের ‘ভিউ’ ছাড়িয়েছে ১৬ লক্ষ। তা ছাড়াও ফেসবুকের নানা পেজে, টুইটারে, হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়েছে ভিডিয়োটি।
‘অরাজনৈতিক’ সাক্ষাৎকারের এমন প্যারডি করার ভাবনা কেন? আনন্দবাজারকে শ্যাম বললেন, ‘‘ভোটের বাজারে এমন ‘অরাজনৈতিক’ সাক্ষাৎকার দেখেই আমরা একটা ‘অরাজনৈতিক’ প্যারডি করার কথা। এখন সবার প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে পারছি তা সবার ভালই লেগেছে। অনেকে তো এমনও বলছেন, আসল সাক্ষাৎকারের থেকে তাঁদের আমার আর বিকল্পের সাক্ষাৎকারই বেশি ভাল লেগেছে।’’
কিন্তু আসল সাক্ষাৎকার হোক বা প্যারডি, তা কি সত্যিই অরাজনৈতিক? শ্যাম জানাচ্ছেন, অরাজনৈতিক বলার মধ্যেই একটা রাজনীতি আছে। শ্যামের ব্যাখ্যা, ‘‘আমরা ১৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা শুনেছিলাম। তা পাইনি। তাই চায়ের সঙ্গে বিস্কুটের প্যাকেট দেওয়ার কথা বলে ফাঁকা প্যাকেট দেওয়ার কথা বলে মজা করেছি।’’
মোদীর নকল করে বিখ্যাত হলেও এ জন্য আগে বিতর্কেও জড়িয়েছেন শ্যাম। মোদীকে নকল করে করা তাঁর কৌতুক সম্প্রচার করতে আপত্তি জানিয়েছিল একটি চ্যানেল। এই ভিডিয়ো তৈরির সময় সে কথা মনে হয়নি? শ্যাম বলছেন, ‘‘ইন্টারনেট এসে চ্যানেলের বাধা-নিষেধকে এড়ানোর কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছে। এখন আমি নিজের পছন্দের ভিডিয়ো তৈরি করে সরাসরি ইউটিউবে আপলোড করতে পারি। তাতে চ্যানেলের বিধিনিষেধ মানার দরকার নেই।’’
বিধিনিষেধের পরোয়া না করেই কৌতুকশিল্পীদের নিজের কাজ করা উচিত বলে মনে করেন শ্যাম। তিনি বলছেন, ‘‘যে দলই সরকারের থাকুক, তাদের কোনও প্রতিশ্রুতি শুনে যদি মানুষের হাসি পায়, তা হলে সেই রসদ দিয়ে আমরা কৌতুকের উপাদান তৈরি করব। সরকারে অন্য দল এলেও
তা চলবে।’’